বিশেষ প্রতিনিধি।।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে রাবিতে মানববন্ধন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে ‘ছাত্র-শিক্ষক-অভিবাক ঐক্য’ ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নির্দিষ্টভাবে একটা স্বৈরতান্ত্রিক, ফ্যাসিস্ট রেজিমের কলকাঠি হয়ে গেছে। যে সংসদে এ আইন পাশ হয়েছে, তাদের কারা ভোট দিয়ে সাংসদ বানিয়েছেন সেটা বাংলাদেশের জনগণ অন্তত জানে না। তারপরও এ ফ্যাসিস্ট সরকার টিকে আছে। এমন সরকার টিকে থাকতে হলে প্রতিদিনই আরেকটু বেশি ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে প্রয়োজন হয়। এই আইনটির সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষকে তারা বুদ্ধিহীন, যুক্তিহীন মানুষ মনে করেন। এ আইনে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেছেন। আমরা জানি এসব প্রতিবাদের ফলাফল অচিরে আসবে না। তারপরও প্রতিবাদ করতে হবে।’
মানববন্ধনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার রানা বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাংলাদেশের জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই আইনে আটক একজন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। আরেকজন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তাদের যে বীভৎস বর্ণনা সেটি মর্মান্তিক। এখন প্রশ্ন হলো এ মানুষগুলো কেনো কারাগারে গিয়েছিল? করোনাকালীন আমাদের দেশের যে অব্যবস্থাপনা ও সমস্যা ছিল সেগুলো নিয়ে কথা বলেছিলেন। কেউ কার্টুন এঁকেছিলেন। একজন দেশের সাধারণ নাগরিক হিসেবে তার এ অধিকার আছে, তিনি অধিকারটুকু প্রয়োগ করেছেন। কিন্তু কারও কারও সে অধিকার দিতে সমস্যা হয়েছিল। সে কারণে তাদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়েছে সারাদেশের মানুষ যেন কথা বলতে না পারে। তাদের বিরুদ্ধে যেন দাঁড়াতে না পারে। সে কারণে এই নির্যাতন ও কারাগারে প্রেরণ, এটি পরিষ্কার। আমরা চাই দ্রুত এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হোক। ’
রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, মুক্তিযোদ্ধা নূর হোসেন, অর্থনীতি বিভাগের বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কণক, রাজশাহী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলা, গণসংহতি আন্দোলনের রাজশাহী জেলা শাখার সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ, অ্যাডভোকেট হাসিব, রাজশাহী যুব অধিকার পরিষদের নেতা ইমন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট রাবি শাখার আহ্বায়ক রিদম শাহরিয়ার প্রমুখ। এ ছাড়াও কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।