বরিশাল : জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও শিক্ষার প্রসারে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহন করলেও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলার গৌরনদী পৌরসভার বড়কসবা গ্রামের আবাসন প্রকল্পে বেড়ে ওঠা শিশুরা। আবাসন প্রকল্পে এক‘শ পরিবার বসবাস করলেও সেখানে স্থায়ীভাবে নির্মিত হয়নি কোন স্কুল। ফলে অকালেই ঝড়ে পরছে শিশুরা।
জানা গেছে, ২০০৫ সালে জেলার গৌরনদী পৌরসভার টরকী বন্দর সংলগ্ন পালরদী নদীর পাড়ে বড় কসবা আবাসন প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। ২০০৬ সালে প্রকল্পটি উদ্বোধণ করেন তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান। প্রকল্পে বর্তমানে এক‘শ পরিবারের বসবাস রয়েছে। এরমধ্যে শতাধিক শিশু রয়েছে।
আবাসন প্রকল্পের প্রবীন বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন সরদার ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আবাসন প্রকল্পটি নির্মান করা হলেও এখানে কোন স্কুল-মাদ্রাসা না থাকায় প্রকল্পের শিশুরা নিরক্ষরই রয়ে গেল। প্রকল্পে বসবাসকারী কালাম হাওলাদার, আব্দুল বারেক বেপারীসহ একাধিক বাসিন্দারা জানান, প্রকল্পটিতে কোন স্কুল না থাকায় এখানের কমিউনিটি সেন্টারে বিভিন্ন সংস্থা একেক সময় ভ্রাম্যমান স্কুল পরিচালনা করতো। কিন্তু এখন আর কোন সংস্থার স্কুল নেই। তারা আরও জানান, প্রকল্প এলাকা থেকে স্কুলগুলোর দূরত্ব তিন কিলোমিটার হওয়ায় শিশুরা স্কুলে যেতে চাচ্ছে না। ফলে এখানের অধিকাংশ শিশু এখনো নিরক্ষর।
আবাসন প্রকল্পের সভাপতি মোঃ আবুল কাসেম সরদার জানান, ২০০৫ সালে প্রকল্পের বসতঘরগুলো নির্মাণের পর অদ্যবধি কোন সংস্কার না করায় ঘরগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। অপরদিকে টরকীর চর থেকে আবাসন কেন্দ্রে যাতায়তের জন্য একমাত্র সড়কটিরও বেহাল অবস্থা। ফলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
তিনি আরও জানান, আবাসনে কোন স্থায়ী বিদ্যালয় না থাকায় বিভিন্ন সময় এনজিওর মাধ্যমে প্রকল্পের কমিউনিটি সেন্টারটি স্কুল হিসেবে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু কমিউনিটি সেন্টারটিও দীর্ঘদিন যাবত জরাজীর্ণ। ফলে এখানকার অধিকাংশ শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে শিশু বয়সেই পরিবারের সদস্যদের সাথে কাজে যোগদান করে শিক্ষাজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরছে। আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা তাদের শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য স্কুল নির্মানের পাশাপাশি আবাসনের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রæত সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।