সাব্বির ফকির, খুলনাঃ বাজারে চালের মূল্য উর্ধ্বগতি রোধে খাদ্য অধিদপ্তর খুলনার ১৪ আমদানিকারককে ভারত থেকে চাল আনার জন্য তাদেরকে ৯২ হাজার ৫শ’ মেট্টিক টন চাল আনার জন্য অধিদপ্তর অনুমতি দিয়েছে।
গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এ অনুমতি দেয়া হয়। চালের প্রথম চালান দৌলতপুর ও নওয়াপাড়ায় আসতে শুরু করেছে। চালের মূল্য কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা করে কমেছে।
আমন ওঠার পরপরই চালের দাম হু-হু করে বাড়তে শুরুকরে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে মোটা চাল সর্বনিম্ন ৪৩-৪৪ টাকা দরে বিক্রি হয়। চিকন চাল কেজি প্রতি ৫৮-৫৯ টাকা দরে বিক্রি হয়।
খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী গত ১১ মার্চ উপজেলা পর্যায়ে মোট চাল ৪৩-৪৪ টাকা এবং মহানগরীতে ৪৪-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। চিকন চাল উপজেলা পর্যায়ে ৫৯-৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়। মহানগরী পর্যায়ে প্রতি কেজি চাল প্রকার ভেদে ৬১-৬৩ টাকা দরে বিক্রি হয়।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছেন, মার্চ মাসের প্রথম দিকে খুলনা নগরীতে প্রতি কেজি চিকন চাল ৬৫ টাকা দরেও বিক্রি হয়। বাজার মূল্য স্থিতি রাখতে খাদ্য অধিদপ্তর ভারত থেকে চাল আনার জন্য খুলনার ১৪ জন আমদানিকারককে অনুমতি দিয়েছে।
অনুমতিপ্রাপ্ত আমদানিকারকরা হচ্ছেন, নগরীর ক্লে রোড এলাকার পিসিএফ ইন্ডাষ্ট্রিজ, স্টেশন রোড এলাকার রাজলক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ, সোনাডাঙ্গার এসএম কর্পোরেশন, হেলাতলার পলি এন্টারপ্রাইজ, পুরাতন যশোর রোড এলাকার কেএন ট্রেডার্স, ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাজারের ভাই ভাই স্টোর, টুটপাড়া সার্কুলার রোডের কাজী এন্টারপ্রাইজ, ফুলতলা বাজারের শেখ ব্রাদার্স, একই এলাকার এসআর এন্টারপ্রাইজ, রত্না এন্টারপ্রাইজ, লাবনী এন্টারপ্রাইজ, নীপা এন্টারপ্রাইজ, দৌলতপুরের মাহাবুব ব্রাদার্স প্রাঃ লিঃ ও লবণচরা এলাকার কাজী সোবহান ট্রেডিং কর্পোরেশন। খাদ্য অধিদপ্তর জানুয়ারি মাসে ৪৯ হাজার ৫শ’ মেট্টিক টন এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৩ হাজার মেট্টিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়।
আমদানিকারকরা জানান, এলসি খোলার পর ৩ হাজার মেট্টিক টন চাল ইতিমধ্যেই আমদানি হয়েছে। বেনাপোল বন্দরের বিপরীতে ভারতের পেট্টাপোলে ট্রাক বোঝাই চাল ১২-১৫ দিন এবং ভোমরা শুল্ক স্টেশনের বিপরীতে খোজাডাঙ্গায় যানজটের কারণে ২৭-২৮ দিন সময় লেগে যায়। এতে পরিবহন খরচ বাড়ে।
তারা আরও বলেন, চাল আমদানির ফলে প্রতি কেজি স্বর্ণা ৪৪-৪৫ টাকার স্থলে সাড়ে ৪১-৪২ টাকা দরে এবং মিনিকেট প্রতি কেজি ৫৭-৫৮ টাকার পরিবর্তে ৫৩-৫৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।