সাব্বির ফকির, খুলনাঃ একটু বৃষ্টি হলেই নগরজুড়ে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা, থাকে দীর্ঘ সময়। খুলনার এই জলাবদ্ধতা দূর করতে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নগরীতে শুরু করেছে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ। অত্যন্ত ধীরগতিতে চলমান এই উন্নয়ন কাজই এখন চরম ভোগান্তিতে ফেলে দিয়েছে নগরবাসীকে। এ কারণে প্রধান সড়কগুলোতে লেগে থাকছে যানজট।
এমনকি দৈনন্দিন জীবনে চলা চলের জন্য যেসব রাস্তা অতি গুরুত্বপূর্ণ সেই সব রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। এই জলাবদ্ধতাকে কেন্দ্র করে জন্মাছে মশা ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, এতে করে এলাকাবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই।
নগরীর খালিশপুর থানাথীন মানষীবিল্ডিং মোর থেকে প্লাটিনাম ২ নং গেটের জেতে যে রাস্তাটি ব্যাবহিত হয় তার অর্ধেক রাস্তায় জমেছে পানি।
একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পানি কারণে ক্রেতাদের দোকানে আসতে অসুবিধা হচ্ছে। ভালো ভাবে বেচাকেনা করতে পারছি না, এমনটা চলতে থাকলে দোকান ভাড়া বাড়ি ভারা কোনোটাই ঠিকমতো দিতে পারব না।
নগরের হাজী মহসিন রোড, কেডিএ এভিনিউ, আহসান আহমেদ রোড, বাবু খান রোড, শামসুর রহমান রোড, সাউথ সেন্ট্রাল রোডেও চলছে ড্রেন প্রশস্তকরণের কাজ। সবখানেই ধীরগতিতে কাজ এগিয়ে চলছে।
জানা গেছে, খুলনা মহানগরের সড়কগুলোতে খুব শিগগিরই আবার খোঁড়াখুঁড়ি করবে পিডিবি। খালিশপুর থেকে নতুন রাস্তার মোড়, সেখান থেকে মুজগুন্নী মহাসড়ক হয়ে বয়রা মোড়, বয়রা মোড় থেকে জলিল স্মরণি হয়ে মোস্তর মোড়, সেখান থেকে রূপসা শহর বাইপাস হয়ে জিরো পয়েন্ট, সেখান থেকে খুলনা-সাতক্ষীরা সড়ক দিয়ে হোগলাডাঙ্গা পর্যন্ত সড়ক খোঁড়া হবে।
নগরীর ১৮ নং লালহাসপাতাল রোডের বসবাসকারি শিক্ষার্থী মোঃ আরিফিন হোসেন বলেন, ব্যস্ত সড়কে প্রতিদিনই আমাদের চলাচল করতে হয়। আমাকে পলিটেকনিক এ পরীক্ষা দিতে যেতে হয়। আমার বাবাকে অফিসে যেতে হয়। আমার সরাসরি কখনোই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারিনা, যেতে হয় অনেক দুর ঘুরে। রাস্তার কাজ ধীরগতিতে চলার কারনে আমাদের এই ভোগান্তি।
কতগুলো ড্রেন ও সড়কে কাজ চলছে এবং কবে নাগাদ শেষ হতে পারে তা জানতে চাইলে খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ও ড্রেনেজ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. এজাজ মোরশেদ চৌধুরী বলেন, ‘আগামী জুন মাস নাগাদ কাজ শেখ হবে।