রাঙা প্রভাত ডেস্ক।। প্রথমধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বিনাভোটে জয়ের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। স্থানীয় নির্বাচনি ইতিহাসের এবারই সর্বোচ্চ ১৪৯ জন ভোট ছাড়াই জনপ্রতিনিধি হয়েছেন। ৩৭১টি ইউপির মধ্যে ৭৩ জন চেয়ারম্যান (সবাই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী), ৬৮ জন মেম্বার এবং ৮ জন সংরক্ষিত মেম্বার নির্বাচিত হলেন। নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন ১০৮০ জন। ভয়ভীতি-জোরপূর্বক নির্বাচন থেকে সরানোর অসংখ্য অভিযোগ আছে। বর্তমানে ভোটের মাঠে রয়েছেন ১৯ হাজার ১৩৭ জন। বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে রিটার্নিং অফিসাররা প্রতীক বরাদ্দ করেছেন। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা।
প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের আনুষ্ঠনিক প্রচারণা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণায় নামে প্রার্থীরা। নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনসভা, মিছিল ও শো-ডাউন নিষিদ্ধ থাকছে। এছাড়া প্রার্থীরা পথসভা, ঘরোয়া সভা করতে চাইলে ২৪ ঘণ্টা আগে পুলিশকে জানাতে হবে। নির্বাচনি প্রচারণায় এক জন চেয়ারম্যান প্রার্থী দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটি মাইক ব্যবহার করতে পারবেন। সেই সঙ্গে পোস্টারে দলীয় প্রধান ছাড়া অন্য কারো ছবি ছাপানো যাবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বিনাভোটে ৩ মেয়র : আগামী ১১ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচন এবং ১১ পৌরসভায়ও ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে। ইতিমধ্যে ৩ পৌরসভায় একক প্রার্থী থাকায় মেয়র পদে ভোট হচ্ছে না। পৌরসভাগুলো হলো—কুমিল্লার লাঙ্গলকোট, চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও নোয়াখালীর কবিরহাট।