অনলাইন ডেস্ক।। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গত তিন দিন ধরে যে বেঁধে রেখেছিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), তা তুলে নেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত থেকে এ ‘নিয়ন্ত্রণ’ তুলে নেয় সরকার।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে দেশে হঠাৎ ফেসবুকের গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। ব্যবহারকারীরা ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছিলেন।
ফেসবুকের নিয়ন্ত্রণ সরিয়ে নেওয়ার কথা গণমাধ্যমে জানান বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র। তিনি জানান, দেশে ফেসবুক ব্যবহারে যে সমস্যা হচ্ছিল, তা কেটে গেছে। কেন ফেসবুক ও ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত করা হচ্ছে তার কারণ খোলাসা না করলেওআন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুরোধে ফেসবুক বন্ধ রাখা হয়েছে।’ এর বাইরে এ সংক্রান্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি তিনি।
শুক্রবার যে সময় থেকে ফেসবুক শ্লথ হয়ে পড়ে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশে সফররত ছিলেন। তার সফরের বিরোধিতায় শুক্রবার থেকে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের পর ফেসবুকের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছিল। এ নিয়ে বিবৃতিও দিয়েছিল ফেসবুক। এতে তারা বাংলাদেশে তাদের সেবা বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়টি জানে বলে জানায়।
গত শনিবার বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশে তাদের ‘একাধিক সেবা সীমিত করার’ বিষয়ে অবগত আছে তারা। ‘বিষয়টি তারা বোঝার চেষ্টা করছে’ এবং আশা করছে যে, ‘দ্রুতই তাদের পূর্ণাঙ্গ সেবা আবার সচল হবে’।
ফেসবুক ব্যবহারগত সমস্যায় ইন্টারনেটের কোনো প্রভাব ছিল কিনা এমন প্রশ্নও উঠেছিল। কিন্তু গত তিনদিন ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিকই ছিল। ফেসবুক বন্ধ হওয়ার পর ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়, ফেসবুক নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারের হাতেই প্রযুক্তি রয়েছে।
অবশ্য ফেসবুক বন্ধ করা হলেও ভিপিএন বা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ব্যাবহার করে অনেক বাংলাদেশি ফেসবুক ব্যবহার করছেন।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনাও চলছে। অনেকেই বিভিন্ন ধরণের স্ট্যাটাস দিয়ে জানাচ্ছেন যে ভিপিএন’র মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহার করছেন তারা। এমনকি রবিবারও অনেক ব্যাবহারকারীকে দেখা যাচ্ছে ভিপিএন ব্যবহার করে হেফাজতে ইসলামের হরতাল কর্মসূচি নিয়ে ফেসবুক লাইভ করতে।