বিশেষ প্রতিনিধি।। নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া ‘সাবিত আল হাসান’ নামে লঞ্চটির উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। লঞ্চের ভেতর থেকে ২২টি লাশ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ২৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শীতলক্ষ্যার চর সৈয়দপুর এলাকার কয়লাঘাট এলাকায় একটি নির্মাণাধীন সেতুর কাছে ডুবে যাওয়া সাবিত আল হাসান নামে লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে লঞ্চটি ডোবার ঘটনা ঘটে। এসকে-৩ নামে একটি কার্গো জাহাজ লঞ্চটিকে ধাক্কা দিয়েছিল। ঘটনার সময়কার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, এসকে-৩ কার্গো জাহাজটি সাবিত আল হাসান নামে লঞ্চটিকে ধাক্কা দিয়ে পিষে চলে যায়। এরপরই সেটি ডুবে যেতে শুরু করে।
লঞ্চ ডুবির ঘটনার পর উদ্ধার কাজ শুরু করে কোস্ট গার্ড ও বিআইডব্লিউটিএ। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রথমে একজন নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। রাত সাড়ে ১০টা ও ১১টার দিকে দুই নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। সর্বশেষ রাত সাড়ে ১১টার দিকে আরও দুজনের লাশ উদ্ধার হয়। তখন পর্যন্ত ২০ জনকে উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ ছিলেন ২৯ জন। আজ লঞ্চটি পাড়ে তোলার পর সেটির ভেতরে উদ্ধারকাজ চালিয়ে আরও ২২টি লাশ উদ্ধার করে সংশ্লিষ্টরা। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহসহ উর্ধ্বতনরা উদ্ধার কাজ পর্যবেক্ষণ করেন।
সাবিত আল হাসান নামে লঞ্চটিকে উদ্ধার কাজে অংশ নেয় উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’। দেশের বিভিন্ন সম্প্রচার মাধ্যমে দেখা যায়, মাঝ নদী থেকে লঞ্চটিকে টেনে পাড়ের দিকে নিয়ে আসে প্রত্যয়। দমকল, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীও এ সময় উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। পরে সেটির ভেতরে মরদেহ উদ্ধারের কাজ শুরু করেন উদ্ধারকর্মীরা। এতে তাদের সহায়তা করে স্থানীয়রা।
গতকাল রাতে ৫ নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। দেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ যাদের উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে স্থানীয় প্রশাসন। নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম বেপারী এ কথা জানিয়েছেন।