অধ্যাপক কবির চৌধুরী কে চেয়ারম্যান করে শিক্ষা প্রনায়ন কমিটি গঠন করা হয়।

আমি এ কমিটির সদস্য ছিলাম। ইসলামিক শিক্ষা প্রাথমিক পর্যায় বাধ্যতামূলক করে এক মুখি শিক্ষা নীতি প্রনায়ন করা হয়।জাতীয় সংসদ ২০১০ সালে জাতীয় শিক্ষা নীতি পুরাপুরি গ্রহন ও বাস্তবায়ন করেছে।

কিন্তু ২০১০ থেকে কওমি মাদ্রাসা ও হেফাজত ইসলাম জাতীয় শিক্ষা নীতি গ্রহন করেনি। তারা তাদের শিক্ষার মাধ্যম উর্দু।

তারা বাংলাদেশের মূল নীতি,গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ,ও ধর্ম নিরেপেক্ষতার ভিত্তিতে শিক্ষা গ্রহন করেনা।এ কারনে জাতীয় আদর্শ থেকে বিচ্ছিন্ন।

আমাদের সুপারিশ ছিলো শিক্ষা নীতি হবে একনীতি সকলকে জাতীয় সেলেবাস অনুযায়ী বাধ্যতামূলক ভাবে বাংলা,ইংরেজি, গনিত, সব বিষয় পড়াতে হবে একি সাথে তারা ইসলামিক বিষয় পড়াতে হবে।

শিক্ষা সংস্কার না হলে কওমি মাদ্রাসা ও হেফাজত ইসলামের সমস্যা সমাধান হবেনা।

মনে রাখতে হবে কওমি ও হেফাজত ইসলাম মুক্তিযুদ্ধে অংশো নেয়নি। তাদের মধ্যে বীরবিক্রম ও বীরপ্রতীক নেই।

ইসলামের শিক্ষার সাথে আধুনিক শিক্ষা গ্রহন করতে হব।

লেখকঃ সিরাজ উদদীন আহমেদ ।
সদস্য জাতীয় শিক্ষা নীতি প্রনায়ন কমিটি

Share.
Exit mobile version