নিজস্ব প্রতিবেদক :- স্ত্রীকে বেড়াতে নিয়ে এসে হত্যার পর লাশ গুম করার পর অবশেষে বস্তাবন্ধি অবস্থায় ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হতভাগ্যে কলেজ ছাত্রী নাজনিন আক্তারের লাশ।
বুধবার বেলা সাড়ে এগারটার দিকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের হরহর গ্রামের বিলের মধ্যে ধানক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া জাহাঙ্গীরাবাদ সেনানিবাসের পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও বাবুগঞ্জ উপজেলার চরজাহাপুর গ্রামের আব্দুল করিমের পুত্র সাকিব হোসেন হাওলাদার তার কলেজ ছাত্রী স্ত্রী নাজনীন আক্তারকে গত ২৪ মে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার হরহর গ্রামের সাকিবের পিতার ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে এসে হত্যার পর বাসার পিছনে সেফটি ট্যাংঙ্কির মধ্যে লাশ গুম করে। এ ঘটনায় বগুরা সদর থানা পুলিশের হাতে আটক হয় সাকিব। মঙ্গলবার গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় দিনভর লাশ উদ্ধারের জন্য অভিযান চালায় বগুরা সদর থানা পুলিশ। সাকিবের স্বীকারোক্তি মতে, সেফটি ট্যাংঙ্কিতে অভিযান চালানো হলে সেখানে লাশ পাওয়া না গেলেও কলেজ ছাত্রীর পরিধেও ওড়না, শরীরের চামড়া ও নখ উদ্ধার করা হয়।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, বুধবার সকালে স্থানীয় ট্রাক্টর চালক দুখু হাওলাদার হরহর গ্রামের বিলের মধ্যে জমি চাষ করতে গিয়ে বস্তাবন্ধি লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরবর্তীতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্রধরে গত এক বছর পূর্বে বগুড়া সদর উপজেলার সাবগ্রাম এলাকার আব্দুল লতিফ প্রমানিকের একাদশ শ্রেণী পড়–য়া কন্যা নাজনিন আক্তারের সাথে বিয়ে হয় বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার নতুন চরজাহাপুর গ্রামের আব্দুল করিম হাওলাদারের পুত্র ও বগুড়া জাহাঙ্গীরাবাদ সেনানিবাসের ঝাড়–দার সাকিব হাওলাদারের। বিয়ের সময় কলেজ ছাত্রী স্ত্রীকে মিথ্যে তথ্য দিয়ে বিয়ে করে সাকিব। পরবর্তীতে ২৪ মে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার হরহর গ্রামে সাকিবের পিতার ভাড়াটিয়া বাসায় স্ত্রী নাজনিনকে নিয়ে এসে হত্যার পর লাশ গুম করে।