শাহজাহান সরকার,বিশেষ প্রতিনিধি।। শুধু সোনালী আঁশই নয় পাটকাঠিতেও আশার আলো দেখছেন পাবনা জেলার সুজানগরের প্রান্তিক চাষিরা। তারা পাটের পাশাপাশি পাটকাঠি বিক্রি করেও লাভবান হচ্ছেন বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর থেকে। ফলে বাড়তি আয় হচ্ছে তাদের। হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। একটা সময় ছিল যখন পাটকাঠি দিয়ে প্রধানত গ্রামের অসচ্ছল পরিবারের ঘরের বেড়া তৈরি এবং পাটখড়ি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে পাটকাঠি এখন ক্রমশঃ অর্থকরী পণ্য হয়ে উঠেছে। পানের বরজ,পার্টিকেল বোর্ড ও চারকোল কারখানায় পাটকাঠির ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।
বর্তমানে সুজানগর উপজেলায় পাট ধোঁয়ার পর পাটকাঠি শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণিরা। গ্রামীন সড়কপথের পাশে মাইলের পর মাইল জুড়ে চলছে পাটকাঠি শুকানোর কাজ।
সুজানগরের পাটচাষিরা জানান, কুষ্টিয়া জেলা সহ দুর-দুরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসে পাটকাঠি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার ভাঁয়না ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হক জানান, একশ আাঁটি পাটকাঠি তারা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন সাড়ে চারশত টাকা থেকে সাড়ে পাঁচশত টাকায়। এটি একসময় বিক্রি করা হতো মাত্র একশত থেকে দেড়শত টাকায়।
উপজেলার উলাট গ্রামের কৃষক রাজ্জাক মোল্লা এবং সাহাপুর গ্রামের কৃষক আবেদ আলী বলেন রান্নার জ্বালানি,ঘরের বেড়া ও পানের বরজের ছাউনি ছাড়া পাটকাঠি আর কোনো কাজে লাগত না। কিন্তু এখন পাটকাঠি তারা ভালো দামে বিক্রি করতে পারছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার রাফিউল ইসলাম জানান, এবারে সুজানগর উপজেলায় প্রায় সাড়ে আট হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। আর পাটের পাটখড়ি বা পাটকাঠি দিয়ে পানের বরজ,কার্বন ফ্যাক্টরী সহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হওয়ায় বাজারে দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে। এ কারণে ভালো দামে পাটকাঠি বিক্রি করে এ অঞ্চলের কৃষকেরাও লাভবান হচ্ছেন।