এলিসন সুঙ, চট্টগ্রাম থেকে ফিরে :-  স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘কারিতাস বাংলাদেশ’র সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বছরব্যাপী আনন্দ আয়োজনের পর্দা উঠেছে চট্টগ্রাম থেকে। মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সেবায় ৫০ বছর পার করলো এই প্রতিষ্ঠানটি।

গত বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর)  চট্টগ্রাম নগরীর মোটেল সৈকতের হলরুমে সুবর্ণজয়ন্তীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি দেশ-বিদেশের কারিতাস কর্মী, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নানা শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজন ও বিশপমণ্ডলীর মিলনমেলায় পরিণত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগন বক্তব্য দেন কারিতাসের নির্বাহী পরিচালক সেবাষ্টিয়ান রোজারিও। তিনি ৫০ বছরের ধারাবাহিকতায় কারিতাস দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নে নিবেদিত থেকে কার্যক্রমের ধারা আরও বেগবান করার প্রত্যয় ঘোষণা করেন।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (কর্মসূচি) এবং সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক জেমস গোমেজ কারিতাসের ৫০ বছরের অর্জনের ইতিহাস ‍তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়েছিল, পরবর্তীতেও কারিতাস তার স্বীয় লক্ষ্য নিয়ে মানুষের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে। ভবিষ্যতেও কারিতাস মানবতার সেবায় ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যাবে।’

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার প্রকাশ কান্তি চৌধুরী,  কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও, কারিতাস বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট বিশপ জেমস্ রমেন বৈরাগী,কারিতাস-এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ড. বেনেডিক্ট আলো ডি রোজারিও, অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের আর্চবিশপ বিজয় এন ডি ক্রুজ, আর্চবিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার, ভারতের আগরতলার বিশপ লুমেন মন্তেরো, কারিতাসের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) যোয়াকিম গমেজ, আঞ্চলিক পরিচালক সুক্লেশ জর্জ কস্তা।

এছাড়া কারিতাসের ৫০ বছরের পূর্তিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের মধ্যে অনুভূতি প্রকাশ করেন- সাধুরাম ত্রিপুরা মিল্টন, বেবী রাণী দে, নোমান উল্লা বাহার, পিটার বাড়ৈ।

এর আগে, সকালে সুবর্ণজয়ন্তীর শোভাযাত্রা নেগরীর পাথরঘাটায় অবস্থিত সেন্ট প্লাসিডস্ হাইস্কুল মাঠ থেকে বের হয়ে স্টেশন রোডে মোটেল সৈকত প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। ফেস্টুনসহ বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উন্মুক্তকরণ, বৃক্ষরোপণ, ফটো গ্যালারি উন্মোচন, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীও হয় সেখানে।

সুবর্ণজয়ন্তীর আলোচনা অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে চট্টগ্রামের লোকজ নৃত্য, বিভিন্ন আদিবাসী  জাতিসত্ত্বার শিল্পীদের পরিবেশনায় নৃত্য এবং সঙ্গীত পরিবেশন হয়

Share.
Exit mobile version