শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে হলে মাথায় রাখুন এই পাঁচ গোপন চাবিকাঠি!

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে একজন মানুষ খুব সহজেই যেকোনো রোগে আক্রান্ত হতে পারে। মহিলাদের জন্য এই ফিটনেস রেজিম খুব উপকারি৷ মোটামুটি সপ্তাহে তিন দিন অভ্যাস করলেই অনেক উপকারিতা পাবেন৷ শরীরের মাসল গুলিও টোনড হয়ে উঠবে৷
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: অনেকেই আছেন যাঁরা মনে করেন ডায়েট মেনে চললেই বোধহয় শরীরকে রোগা কিংবা ইচ্ছে মত মোটা করে নেওয়া যায়। কিন্তু তা শরীর পক্ষে অনেক সময়ই সুখ দায়ক হয় না। তাই শরীর ধরে রাখতে নিয়ম মেনে খাওয়া উচিৎ। যতটা শরীরের প্রয়োজন ততটাই পুষ্টি প্রোটিন তাকে দিতে হবে সুস্থ থাকতে। সুস্থ থাকার জন্য শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে একজন মানুষ খুব সহজেই যেকোনো রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

স্নান করা মাস্ট-শীত,গ্রীষ্ম,বর্ষা নিয়মিত স্নান করা মাস্ট (lifestyle tips)! কারণ এমনটা না করলে ক্ষতিকর সব ব্যাকটেরিয়ার খপ্পরে পরার আশঙ্কা যায় বেড়ে। আর এমনটা হলে শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে বোঝাতে হবে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। তা হল, বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে বহু মহিলাই সাবান মাখার পর তা ঠিক করে ধুয়ে ফেলে না। ফলে দিনের পর দিন শরীরের ইতিউতি সাবান জমতে থাকার কারণে নানাবিধ ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই সাবান ঠিক মতো ধুয়ে গেছে কিনা, সে দিকে নজর রাখার প্রয়োজন রয়েছে।

শরীরচর্চা-শরীরচর্চার এই বিশেষ ধরণটি, মূলত যারা ব্যায়ামবীর বা বডি বিল্ডিং-এর সঙ্গে যুক্ত, শুধু তাদের জন্য৷ খেলার সময় যাতে সহজে চোট আঘাত না লাগে, সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেই অ্যানারবিক এক্সারসাইজ অভ্যাস করা হয়৷ তবে এই এক্সারসাইজ যে কোনও বয়সের মানুষই করতে পারেন৷ এমনকি যাঁরা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন বা আরথ্রাইটিসে ভুগছেন, তারাও স্ট্রেংথ ট্রেনিং করলে উপকার পাবেন৷ ওবেসিটি এখন বেশিরভাগ মানুষেরই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ স্ট্রেংথ ট্রেনিং শুধু যে তাড়াতাড়ি আপনার ওজন কমাতেই সাহায্য করবে তাই নয়, ওজন চমত্‍কার নিয়ন্ত্রিতও থাকবে৷ বিশেষ করে মহিলাদের জন্য এই ফিটনেস রেজিম খুব উপকারি৷ মোটামুটি সপ্তাহে তিন দিন অভ্যাস করলেই অনেক উপকারিতা পাবেন৷ শরীরের মাসল গুলিও টোনড হয়ে উঠবে৷

২ মিনিটের কম ব্রশ করা মোটেও চলবে না-একথা হয়তো অনেকেরই জানা নেই যে আমাদের মুখগহ্বরে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলতে হলে কম করে ২ মিনিট ব্রাশ করার প্রয়োজন রয়েছে। আর যদি এর থেকে কম সময় দাঁত মাজা হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সব জীবাণুরা মারা পরে না। ফলে দাঁতের তো ক্ষতি হয়ই, সেই সঙ্গে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরোনোর সম্ভাবনাও থাকে। তাই তো বলি বন্ধু, ২ মিনিটের কম ব্রশ করা মোটেও চলবে না কিন্তু!

কাঁচা মাংস কখনই রান্না ঘরের বেসিনে ধোয়া উচিত নয়-রান্না করার সময় যদি একই সঙ্গে মাংস এবং সবজি কাটার প্রয়োজন পরে, তাহলে আলাদা আলাদা ছুরির ব্যবহার মাস্ট। এক্ষেত্রে ভুলেও কিন্তু যে ছুরি দিয়ে মাংস কাটা হয়েছে, সেই একই ছুরি ব্যবহার করে সবজি কাটা চলবে না! এমনকি আলাদা চপিং বোর্ড ব্যবহার করার প্রয়োজনও রয়েছে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটি জিনিসও মাথায় রাখতে হবে। তা হল, কাঁচা মাংস কখনই রান্না ঘরের বেসিনে ধোয়া উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে রান্নার জায়গায় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই অন্য কোথাও কাঁচা মাংস ধুয়ে নিয়ে তারপর সেটা রান্না ঘরে এনে রাখা উচিত।

প্রস্রাব চেপে থাকার ভুল কাজটা কখনও করো না যেন- বেশিক্ষণ প্রস্রাব চেপে থাকার ভুল কাজটা কখনও করবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে শরীরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন থাকে, তেমনি ‘ইউ টি আই’ এর মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও যায় বেড়ে।

তথ্য সংগ্রহঃ শাহজাহান সরকার।।

Share.
Exit mobile version