বিশেষ প্রতিনিধি।। পাবনা থানায় জিডি করার ৫ ঘন্টার মধ্যে নিখোঁজ পাবনা জেলা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র সায়মুম আহাদকে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া থেকে উদ্ধারের নেপথ্যের কাহিনী,,,
পাবনা জেলা স্কুলের দশম শ্রেণির দিবাকালীন “গ” শাখার ছাত্র সায়মুম আহাদ (১৬) গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পাবনা শহরস্থ রামচন্দ্রপুর শরীফ ভবনের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে অভিমান করে কাউকে কিছু না বলে চলে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে কোথাও খুঁজে না পাওয়ায় ০২( দুই) দিন পর ২৬ ফেব্রুয়ারি পাবনা থানায় এসে এ সংক্রান্তে একটি নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নং – ১৬৪৩।
সে আমিনপুর থানার আহম্মদপুর ইউনিয়নের মৃত ময়েন উদ্দিনের পুত্র ও মোঃ আব্দুল আলিম এর ভাই।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ সায়মুম আজাদ এর সাথে কোন মোবাইল ফোন ছিল না। বিষয়টি থানার কর্তব্যরত অফিসার সাথে সাথে ডেভিড হিমাদ্রী বর্মা, সাব-ইন্সপেক্টর ( নিঃ), পাবনা থানা, পাবনাকে অবগত করলে তিনি বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রথমে তার পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং সূত্র আবিষ্কারের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে সায়মুম আজাদ এর ঘনিষ্ট বন্ধু পিয়াস ( পাথরতলা মিষ্টিমুখ দোকানে খন্ডকালীন চাকুরী করে) এর নিকট গিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেন। বন্ধু পিয়াস জানায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে নিখোঁজ সায়মুম তাকে ফোন করে কিছু টাকা বিকাশে চায়, তবে সে কোথায় আছে সে কথা কোনভাবে বলে নাই। অগত্যা উক্ত মোবাইল নাম্বারে এস আই ডেভিড হিমাদ্রী বর্মা উক্ত মোবাইল ফোনে ফোন করলে ফোনটি বন্ধ পান। একই তারিখ বিকেল ৫ টার দিকে উক্ত নাম্বার খোলা পাওয়া যায় এবং কথা বলে জানা যায় উক্ত ব্যক্তির নাম মিলন হোসেন, তিনি নারায়ণগঞ্জে বসুন্ধরা কোম্পানীতে সিকিউরিটির চাকুরী করেন, তার নিজের বাড়ী পাবনার ভাঙ্গুড়া থানা এলাকায়। তার নিকট থেকে মোবাইল ফোনে জানা যায় সায়মুম আজাদ পাবনা চাটমোহর থেকে ট্রেনে উঠে এবং ট্রেনে তার সাথে পরিচয়। সায়মুম এর নিকট মিলন হোসেন সবকিছু জানার পর পাবনায় ফেরত আসার জন্য বলে কিন্তু সে কোনভাবেই আসবে না বলে জানায়। বর্তমানে সায়মুম আজাদ তার হেফাজতে আছে, পরে সায়মুম এর খালু মোঃ সোলায়মান আহমেদ, পোস্তগোলা, ঢাকা কে দ্রুত নারায়ণগঞ্জে পাঠানো হয় এবং তিনি মিলন হোসেন এর নাম্বারে যোগাযোগ করে তার নিকট গিয়ে সায়মুম কে ২৬ ফেব্রুয়ারি ৭-৫০ মিনিটে হেফাজতে নেন। পরে সায়মুম তার খালু মোঃ সোলায়মান হোসেন এর হেফাজতে থাকে। খালু মোঃ সোলায়মান আহমেদ এর মোবাইল ফোনে সায়মুম আহাদ এর সাথে কথা বলে এস আই ডেভিড হিমাদ্রী বর্মা জানতে পারেন সে সুস্থ ও স্বাভাবিক আছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর মোঃ আব্দুল আলিম তার পুত্র সায়মুমকে আনার জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন এবং সায়মুম আজাদ এর খালু মোঃ সোলায়মান আহমেদ এর হেফাজত হতে সায়মুম কে বুঝে নিয়ে ইং ২৭ তারিখ রাত্রি পৌনে ৯ টার সময় পাবনার ভাড়া বাসায় ফিরে আসেন। বর্তমানে সায়মুম আহাদ সুস্থ আছে।
তথ্যটি পাবনা জেলা পুলিশের ফেসবুক আইডি থেকে পোষ্ট করেছেন।