ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের এক প্রতিবন্ধী নারীকে (৩৫) বিয়ের আশ্বাসে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মাহবুব হোসেন (৬৩)।
ঘটনা জানাজানির পর বাধ্য হয়ে সোমবার (৯ মে) রাতে ওই নারীকে নাটকীয় বিয়ে করেন তিনি। এতে ধর্ষণ মামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। এদিকে মাহবুবের এক স্ত্রী ও তিন ছেলে-মেয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী জানান, বাড়িতে কাজ করতে আসা প্রতিবন্ধী নারীকে সরকারি অনুদান দেওয়ার ফাঁদে ফেলে তার সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন মাহবুব। তাকে প্রতিবন্ধী কার্ডসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দিতেন তিনি। এ সুযোগে ওই নারীর ঘরে গিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন মাহবুব। সবশেষ রোববার দুপুরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে গেলে বাড়ির লোকজন দেখে ফেলে।
প্রতিবন্ধী নারীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা খুলে বলেন। পরে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। ওই নারী তার বাবার বাড়িতে থাকেন। তার স্বামী-সন্তান, মা-বাবা কেউ নেই।
বিয়ের কাজী ধলিয়া ইউনিয়নের শিহাব উদ্দিনের প্রতিনিধি আজিজুল হক জানান, দেড় লাখ টাকা মোহরানায় ওই নারীর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে উশুল ধরা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। মাহবুবের প্রথম স্ত্রীর সম্মতিতে বিয়ে হয়েছে।
তিনি নিজে গিয়ে মাহবুবের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সম্মতি নিশ্চিত হয়েছেন। তার সঙ্গে সাক্ষীও ছিল। কিন্তু লিখিত নেওয়ার বিধান থাকলেও সে পরিস্থিতি না থাকায় লিখিত নিতে পারেননি। পরে নেবেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জনরোষ ও পরিস্থিতি সামাল দিতে অল্প টাকা মোহরানায় মাহাবুব এ নাটকীয় বিয়ে করেছেন। যাতে পরে ওই নারীকে তালাক দেওয়ার পথ সহজ হয়।
ধলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আহম্মদ মুনশী বলেন, সকালে ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল এসে মৌখিকভাবে মাহবুবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করেছেন। পরবর্তী সময়ে প্রমাণ হলে তাকে লিখিত এবং স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলে জানান। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী নারী বিষয়টি নিয়ে তার কাছে এসেছিলেন। তিনি ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন।