বিশেষ প্রতিনিধি ।।

বৈশ্বিক অস্থিরতার কারনে আমদানি বানিজ্যের জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত মার্কিন মুদ্রা ডলারের দাম ছিল ঊর্ধ্বগতি সম্পন্ন। কন ভাবেই নাগাল পাওয়া যাচ্ছিলো না। এর অবশ্য নানাবিধ কারন রয়েছে। বিশ্বে মহামারি করোনার থাবার রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়ে যায় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ফলে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মুদ্রা ডলারের মূলে তেজিভাব দেখা যাচ্ছে। আমদানি বৃদ্ধি ও রেমিট্যান্স প্রবাহে ধীরগতির কারণে দেশের বাজারেও মার্কিনি এই মুদ্রার দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে।তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু শর্তারোপের কারণে কমতে শুরু করেছে আমদানি।

কেন্দ্রিয় ব্যাংকের তথ্যমতে, তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুনে আমদানির জন্য এলসি খোলার মোট মূল্য পরিশোধের হার প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে। গত জুনে ৭৩৮ কোটি ডলার মূল্যমানের পণ্য আমদানির এলসি খোলা হয়েছে। আগের মাস মে-তে যার পরিমাণ ছিল ৮২০ কোটি ডলার। অবশ্য জুনে এলসি নিষ্পত্তি প্রায় ১৮ শতাংশ বেড়ে ৮৫৫ কোটি ডলারে ওঠে। জুনে নিষ্পত্তি হওয়া এলসির বড় অংশ আগে খোলা। আর এলসি খোলা কমে যাওয়ার মানে নিকট ভবিষ্যতে আমদানি ব্যয় কমবে।

তাছাড়া কেন্দ্রিয় ব্যাংক সূত্রমতে জুলাইয়ে আমদানি ব্যয় কম্বে ২৫ শতাংশ।  সূত্র জানায়, জুনের চেয়ে এলসি আরও কমেছে জুলাইয়ে। মূল্য বিবেচনায় ২৭ তারিখ পর্যন্ত কমার হার ২৫ শতাংশ। অন্যদিকে এ সময় পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ১৯০ কোটি ডলার। মাস শেষে রেমিট্যান্স ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। আগের মাস জুনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৪ কোটি ডলার। আগামী দুই মাসের মধ্যে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ২৭ জুলাই (বুধবার) দিন শেষে রিজার্ভ নেমে দাঁড়ায় তিন হাজার ৯৪৯ কোটি (৩৯ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন) ডলারে। প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুদ এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে ৫ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

 

Share.
Exit mobile version