নীল ভালবাসা
– বিজয় বিক্রম
তোমাকে যে কতবার দেখেছি,
তার হিসেব নেই আমার কাছে –
গৃহ মাঝে, বাড়ির আংগিনায়,
প্রতিবেশির উঠোনে, বিলে – ঝিলে,
ধানের ক্ষেতে, শাপলা বনে,
স্রোতস্বিনী নদীর ঢেউয়ে ,
ফাটল ধরা নদীর তটে,
অরণ্য মাঝে, কাশবনে,
পথে – প্রান্তরে, জলে স্থলে, যানবাহনে,
হসপিটালের করিডোরে,
খবরের ক্যাপশনে
কিংবা শ্মশানের বিশ্রী –
ভয়ার্ত আঁধারে।
তোমার দর্শনে প্রতিবার চোখের –
আকাশে বৃষ্টি ঝড়েছে অবিরত ।
তারপরেও এতটুকু ধারণা নেই –
তোমাতে আমার।
তুমি কি বন্ধু নাকি শত্রু,
তোমার ভালোবাসা কি উষ্ণ নাকি বিষাদময়,
তোমার রূপের মাধুর্য,
ভয়ংকর নাকি মধুময় ।
কোথায় তোমার বাস?
জলে স্থলে, আকাশে, পাতালে,
মরুতে নাকি অন্তরিক্ষে।
এই পৃথিবীতে নাকি অন্য কোথাও।
একদিন সত্যের মুখোমুখি,
তোমাকে মেনে নেয়া না নেয়ার – দ্বিধাগ্রস্থতায়,
কিছুই এসে যায়না।
তোমাতে আমার দেখা হবে, কথা হবে
ভালোবাসা হবে, আলিংগন হবে।
তোমার প্রেমে অধরা হবে,
সব ভালোবাসা।
নিমেষেই ঘৃণিত থেকে ভয়ার্ত,
এই প্রিয় জমিন ।
হৃদয়ের বন্ধন – চির চেনা মুখ,
প্রানের দোল ঘুম বিছানা,
চির চেনা উঠোন,
মুখথুবড়ে পড়া –
পুরনো সেই বুড়ো জামগাছটা,
চির চেনা পুকুরের ঘাট,
চির চেনা কলমি বোন,
সবুজ বিস্তৃত মাঠ,
সকলেই ব্যস্ত –
নতুন সূর্যের পবিত্রতা রক্ষায়।
তোমায় ভালোবাসাহীন কল্পনাতীত,
মেনে নিয়েছি তাই- না মানা মনে।
কেবলই এই টুকু চাওয়া –
আর একটু সময় দেও আমাকে।
ঐ যে ধানে ভরা মাঠ, বৃক্ষরাজী –
আমাকে খুব ভালোবাসে, আমিও।
এঁকেবেঁকে চলা ছোট নদীটা
গাঁয়ের সেই ধুলো মাখা মেঠোপথ –
ওদের প্রেমে ডুবে আছি সারাক্ষণ,
একটু কথা বলতে দেওনা –
ওদের সাথে।
হৃদয় কাড়া অবুঝ শিশুর সরল হাসি, প্রিয়জনদের নিষ্পাপ মুখগুলো-
আমাতে ব্যকুল, আমিও তাই।
ওদের স্পর্শে থাকতে চাই
আরো কিছুক্ষণ,
আর একটু সময় দেবে আমাকে,
তোমার কাছে মাত্রই তো এতটুকু।