রাঙা প্রভাত অনলাইন ডেস্ক।। বাংলাদেশি বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারছেন না জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। হাসান মাহমুদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ শুরুতে আঘাত হানার পর পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন অভিষেক ওয়ানডে খেলতে নামা এবাদত হোসেন।

এরপর বোলিংয়ে এসে স্বাগতিকদের পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটান তাইজুল ইসলাম। তাইজুল ৩.২ ওভারে ১১ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৬.২ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৬০ রান।

লক্ষ্য তাড়ায় নামা জিম্বাবুয়ে শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খেয়েছে। প্রথম ওভারেই ওপেনার তাকুদজোয়ানাশে কাইতানোকে (০) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ। পরের ওভারে আরেক ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানি (১) বোল্ড হয়ে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে। দলই ৭ রানে ২ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।

এরপর অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচেই বাজিমাত করেন এবাদত। পরপর দুই বলে দুই ব্যাটারকে বিদায় করেছেন এই বাংলাদেশি ডানহাতি পেসার। জিম্বাবুয়ে ইনিংসের পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে ওয়েসলে মাধেভেরেকে (১) ফেরান তিনি। লাফিয়ে ওঠা বল মাধেভেরের ব্যাটের উপরিভাগে লেগে জমা হয় পয়েন্টে দাঁড়ানো মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। পরের বলে এবাদতের দুর্দান্ত ইন সুইং ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে ফেরেন আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো সিকান্দার রাজা। জিম্বাবুয়ের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আজ রানের খাতাই খুলতে পারেননি।

এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ে তেমন ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে এনামুল হক বিজয় ও আফিফ হোসাইনের পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ২৫৬ রানের মাঝারি সংগ্রহ পায় টাইগাররা।

বুধবার (১০ আগস্ট) হারারে স্পোর্টস ক্লাবে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে ৫১ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। নবম ওভারে রান আউট তামিম ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ৩০ বলে ১৯ রান করে বিদায় নেন টাইগার অধিনায়ক।

তামিমের বিদায়ের পর অল্প সময়ের মধ্যেই উইকেট হারান নাজমুল হাসান শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুইজনই শূন্য রানে বিদায় নেন। বিপদে পড়া বাংলাদেশের হয়ে একপ্রান্তে লড়াই করে গেছেন বিজয়। ৪৮ বলে ৩ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারিতে পূর্ণ করেন অর্ধশতক। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৯০ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়ে আশা জাগান তিনি। সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকা বিজয় শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেননি।

১৫তম ওভারের চতুর্থ বলে অফ স্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা দিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ৭১ বলে ৪ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারিতে ৭৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। এরপর ব্যাট করতে নামা আফিফ হোসাইনের সঙ্গে ধীরগতিতে এগোতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। তার টেস্ট ধাচের ইনিংস এসে থামে ৩৫তম ওভারে। ৬৯ বলে ৩৯ রান করে ফিরতে হয় সাজঘরে।

সাতে ব্যাট করতে নামা মিরাজকে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ লড়ে যান আফিফ। ৪৭ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়েন তরুণ দুই ব্যাটার। সিকান্দার রাজার বলে মিরাজ এলবিডব্লিউ হলে ভাঙে এই জুটি। ১৪ রান করে বিদায় নেন টাইগার অলরাউন্ডার। এরপর ক্রিজে নেমে থিতু হতে পারেননি তাইজুল ইসলামও। ৫ রানে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

একপ্রান্তে ব্যাটাররা যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে, অপরপ্রান্তে থাকা আফিফ তখন ফিফটির দেখা পান। ৫৮ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন এই ব্যাটার। শেষদিকে এসে পরপর উইকেট হারান হাসান মাহমুদ (১), মোস্তাফিজুর রহমান (০)। ৮১ বলে ২ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারিতে সর্বোচ্চ ৮৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন আফিফ।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে জোড়া উইকেট শিকার করেন ব্র্যাড ইভান্স ও লুক জঙ্গে। একটি করে উইকেট পান রিচার্ড এনগারাবা ও সিকান্দার রাজা।

Share.
Exit mobile version