নিজস্ব প্রতিবেদক: কয়েক বছর যাবত স্বামী কোন খোজ নিচ্ছে না। একছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে  অনেক কষ্টে করে জীবন যাপন করতেছেন।  দারিদ্র্যতা পিছু ছাড়েনি। অন্যের বাড়িতে কাজ করে দিন চলছিলো তার। ১ বছর আগে অসুস্থ হয়ে পরে কোন রকম টাকা জোগাড় করে ঢাকায়  ডাক্তারের কাছে গেলেও, টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না। 
চিকিৎসকের ভাষ্য অনুযায়ী তিনি বাড় ধরনের গাইনি  রোগে ভূগছেন।  টাকার অভাবে ঠিকমত চিকিৎসা ও ওষুধ কিনতে পারছেন না হোসনেয়ারা বেগম ওরফে রুশী (৩৬)।
তিনি বর্তমানে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউপির নতুন চরজাহাপুর পিতার বাড়ি থাকতে অনুপযোগী এমন ছোট একটা ঘর তুলে সেখানে বসবাস করছেন।

এলাকাবাসী জানান, প্রায় বছর চারে যাবত খুলনার দৌলতপুরের কুলি বাগান এলাকার নওয়ার আলী বেপারির ছেলে স্বামী ফিরোজ বেপারি তাদের খোঁজ নিচ্ছেন না। দশম শ্রণীতে পড়ুয়া ফজলে রাব্বি (১৬) ও ৫ বছরের মেয়ে আয়শাকে নিয়ে মানবতায় জীবন যাপন করছেন।

 অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোন রকম দিনপাত চলে অসহায় হোসনেয়ারা বেগমের। বৃদ্ধ পিতা ও আপন ভাইয়েরা তাকে কোন সহযোগীতা করে না। শরীরের বড় ধরনের সমস্যা থাকায় এখন কাজও করতে পারছেন না তিনি। দশম শ্রণীতে পড়ুয়া ছেলে ফজলে রাব্বি অন্যের কাজ করে অসুস্থ মা ও ছোট বোনকে নিয়ে কোন  রকম জীবনযাপন করছে।

তবে টাকার অভাবে ফজলে রাব্বি তার মাকে চিকিৎসা করাতে পারছে না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোট একটি ভাংগা ঘরে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে থাকেন। ঘরে ভিতরে থাকাও অনুপযোগী।  টাকার অভাবেও ঘরটি সংস্কার করতে পারছে না। বৃষ্টি হলেই ঘর দিয়ে পানি পড়ে তখন অন্যের ঘরে আস্রয় নিতে হয় হোসনেয়ারা বেগমকে। 

ঘর সংস্কারের  বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিনা, ঘরের কাজ কি ভাবে করবো। প্রধান মন্ত্রীর উপহার একটি ঘরের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলেয়ো আমি পাইনি তাহার উপহারের ঘর।

স্থানীয়রা বলেন, বৃষ্টি হলেই ঘর থাকতে পারছে না আবার টাকার অভাবেও উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছে না হোসনেয়ারা বেগম।

তাই তিনি সরকারের কতৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন জানায় যাহাতে প্রধান মন্ত্রীর উপহার একটি ঘর ও উন্নত চিকিৎসা বাবদ কিছু টাকার জন্য।

Share.
Exit mobile version