বিশেষ প্রতিনিধি।। বিমানবন্দর এলাকার ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনের প্রবেশপথের পাশে হেঁটে যাচ্ছিলেন খলিল (৩৪) নামের এক পথচারী। এসময় সাদাপোশাকের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তি ইয়াবা ব্যবসায়ী। তবে খলিলের অভিযোগ, পুলিশই তার পকেটে ইয়াবার প্যাকেট ঢুকিয়ে দিয়েছিল। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মাহবুবুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি পল্লবী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বিমানবন্দর সড়কের ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে প্রবেশপথে খলিলকে ইয়াবাসহ আটক দেখিয়ে পল্লবী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন ওই থানার এসআই কামরুল ইসলাম। তবে মামলায় ঘটনার সময় উল্লেখ করা হয়েছে মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে। পরিকল্পিতভাবে খলিলকে ফাঁসানো হয়েছে বলে খলিল দাবি করছেন।
এ ঘটনায় এএসআই মাহবুবল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তাকে প্রত্যাহার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিরপুর বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স শাখার উপ-কমিশনার ফারুক আহমেদ।
খলিলকে আটকের ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে প্রবেশপথে কয়েক ব্যক্তি একজন পথচারীকে জাপটে ধরার ঘটনা দেখতে পান তারা। এদের মধ্যে একজনের পরনে ছিল সবুজ রঙের চেক শার্ট। ওই ব্যক্তি জাপটে ধরা ব্যক্তির প্যান্টের পকেটে ছোট পলিথিন প্যাকেট ঢুকিয়ে দেয়। এরপর তাকে হাতকড়া পরিয়ে কিল ঘুষি মারতে থাকে। ওই পথচারীকে আরও তিন ব্যক্তি ধরে রেখেছিল। এরপর পথচারীকে কিল ঘুষি মারতে মারতে একটি ভাড়া করা সিএনজি অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়।
এসময় সবুজ রঙের চেক শার্ট পরা ব্যক্তি নিজেকে পল্লবী থানার এএসআই মাহবুবল আলম হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি দাবি করেন, খলিল নামের ওই যুবক একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী, সোর্সের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স শাখার উপ-কমিশনার ফারুক আহমেদ বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। ওই এএসআইকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করে পুলিশের মিরপুর বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।