বিশেষ প্রতিনিধি।। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এক নবজাতককে রেখে পালিয়েছেন প্রসূতি। নবজাতকটি বর্তমানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার বিকেলে নিজের নাম রিনি হিসেবে নথিভুক্ত করে এক নারী লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি হন। ওই দিন নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। শিশুটি অসুস্থ থাকায় তাকে নবজাতক ইউনিটে নেওয়া হয়। পরের দিন গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসকরা লেবার ওয়ার্ডে মায়ের খোঁজ করলে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রিনির আসল নাম স্বপ্না। তার স্বামী প্রায় ২২ বছর ধরে সৌদি আরবে থাকেন। গত দুই বছরের মধ্যে তিনি বাংলাদেশে আসেননি। তাদের দুটি সন্তান আছে।

স্বপ্নার ননদ শিরিন সুলতানা বলেন, ‘আমার মাকে নিয়ে ভাবি ও তার দুই সন্তান ভাইয়ের বাড়িতে থাকেন। গত বুধবার সকালে আমাদের বলেন তার পেটে ব্যথা করছে, গ্যাস হয়েছে। এরপর তিনি তার মাকে সঙ্গে নিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি হন। আজ আমরা জানতে পারি যে তার পেটে বাচ্চা ছিল, তিনি বাচ্চা প্রসব করেছেন।’

শিরিন বলেন, ‘বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন। আমরা এর বিচার চাই। তার পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল।’

এ বিষযে জানতে চাইলে স্বপ্না কথা বলতে রাজি হননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটের দায়িত্বরত এক চিকিৎসক বলেন, রিনি নাম দিয়ে ভর্তির সময় ওই নারী তার গ্রামের বাড়ির ঠিকানা দিয়েছেন কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বটতৈলের কবুরহাট এলাকায়। স্বামীর নাম দেওয়া হয়েছে মোমিন। ঠিকানাটি সঠিক নয় বলে জানতে পেরেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ওই নবজাতক এখন সুস্থ রয়েছে। বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share.
Exit mobile version