রাঙা প্রভাত ডেস্ক।।
দিনভর দু্ই পক্ষে উত্তেজনা আর মারামারির পর ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ।
একইসঙ্গে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ১৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক নেই। রয়েছেন ১০ জন সহ-সভাপতি, যারা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরোধিতা করছিলেন।
রোববার রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
তার আগে ইডেনের সংঘাত নিয়ে তদন্ত করতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি তিলোত্তমা শিকদার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশি দায়িত্ব দিয়েছিল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হল।”
সেই সঙ্গে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তারা হলেন- ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোনালি আক্তার, সুস্মিতা বাড়ে, জেবুন্নাহার শিলা, কল্পনা বেগম, জান্নাতুল ফেরদৌস, আফরোজা রশ্মি, মারজানা উর্মি, সানজিদা পারভীন চৌধুরী, এস এম মিলি, সাদিয়া জাহান সাথী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা খানম বিত্তি ও সাংগাঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখী এবং কর্মী রাফিয়া নীলা, নোশিন শার্মিলী, জান্নাতুল লিমা, সূচনা আক্তার।
তাদের ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের কথা জানিয়ে বলা হয়, “অধিকতার তদন্তের মাধ্যমে এই বিশৃঙ্খলার সাথে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের যারা জড়িত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
কীসের ভিত্তিতে বহিষ্কার করা হলে- এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা একটা তদন্ত কমিটি করেছিলাম, তারা তাতে আস্থা রাখতে পারছে না।
“তাই আমরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ একটি বডি মিলে এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করেছি। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এ ঘটনায় আরও তদন্ত চলবে বলে জানান লেখক ভট্টাচার্য।