রাঙা প্রভাত ডেস্ক।।
ক্ষতি এড়াতে সরকারিভাবে কোনো পণ্য বিদেশ থেকে আনার আগেই ভ্যাট ও ট্যাক্স পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১০ অক্টোবর) মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ নির্দেশনার কথা জানান।
তিনি বলেন, ট্যাক্সসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা অনেকেই সচেতন থাকি না। সরকারি বিভিন্ন দপ্তর মালামাল আনার সময় ইনকাম ট্যাক্স বা সিটি ভ্যাট পরিশোধ করে না। সেক্ষেত্রে মালামাল শিপিংয়ে আনলোড করা যায় না। আবার অনেক সময় আনলোড করলেও পোর্টে পড়ে থাকে। বিশেষ করে শিপ থেকে যদি আনলোড না করা যায় কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স না দিলে তো পোর্ট ডিক্লিয়ার করবে না। তখন প্রতিটা শিপকে ২০ থেকে ৩০ হাজার ডলার ডেমারেজ (ক্ষতিপূরণ) দিতে হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, এ বিষয়টি নিয়ে কেবিনেট সচিব সবাইকে নিয়ে বসে বিষয়টি ক্লিয়ার করবেন। যাতে ইনকাম ট্যাক্স বা ভ্যাট যতটা দেওয়ার, তা যেন পণ্য অর্ডার দেওয়ার আগেই সম্পন্ন থাকে।
‘আর কোনো ক্ষেত্রে জরুরি প্রয়োজন হলে, আমরা অনেক ক্ষেত্রে জরুরি জিনিস নিয়ে আসছি যেমন, পদ্মার ক্ষেত্রে জরুরি জিনিস নিয়ে আসছি। হয়তো জুলাই মাসের ৫ তারিখে। তখন নতুন বছরের অ্যালোকেশন পাওয়া যায় না। আমরা কিন্তু আগেই চিঠিতে একটা আন্ডারটেকিং দিয়ে দিয়েছি যে ১০০ কোটি টাকার মালামাল আসবে, এখানে ২০ কোটি টাকার সিটিভ্যাট রয়েছে। সেখানে আন্ডারটেকিং দিচ্ছি যে সিটিভ্যাট আমরা অ্যালোকেশন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দিয়ে দেবো। তখন কিন্তু ছেড়ে দেয়। কখনো আটকা পড়েনি।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টি ভালোভাবে দেখতে বলা হয়েছে, অবশ্যই যেন সব ক্ষেত্রে সিটিভ্যাট দেওয়া হয়। আর তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি অনেক সময় কোনো প্রকিউরমেন্ট থাকে, সেক্ষেত্রে কোনো ডেমারেজ যেন দিতে না হয় এবং পোর্টে পড়ে না থেকে এ বিষয়গুলো ক্লিয়ার করে রাখতে হবে।
এ সময় মন্ত্রী, সচিবসহ সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যদি কেউ জিওবি বা নিজস্ব টাকাতে বিদেশ যায়, সেক্ষেত্রে পিএমও থেকে পারমিশন নিতে হবে। এছাড়া কিন্তু বিল পাস করবে না অ্যাকাউন্টস। কিন্তু ফরেন এইডের আন্ডারে যদি যায় বা প্রকিউরমেন্টের বিষয়ে যদি কেউ যায়, যেমন ধরেন আপনি বড় ধরনের একটি মেশিনারি কিনবেন, তখন সেটা চালানোর জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। সেটা প্রকিউরমেন্টের সঙ্গে খরচ ধরা থাকে। ওই ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া আছে, সেটা আলাদা বিষয়।
তিনি বলেন, এখন তো খুবই কম যাচ্ছে। কেবিনেটের সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জিওবির টাকায় কাউকে বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে আমি সচিবদেরও বলে দিয়েছি। তবে কিছু কিছু জায়গায় যেমন, পররাষ্ট্রসচিব, ইআরডি সচিব, শিক্ষাসচিব, কৃষিসচিব তারা কিন্তু আন্তর্জাতিক অনেক বড় বড় সংস্থার সদস্য। সেসব ক্ষেত্রে আমাদের কোনো অপশন থাকে না। জিওবির টাকা বা ডলার খরচ করে বিদেশ ভ্রমণে খুবই শক্ত অবস্থানে সরকার। এরই মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারের বা ফরেনকারেন্সি ব্যবহার করে কেউ যাচ্ছে না। যেটা যাচ্ছে প্রকিউরমেন্টের আন্ডারে বা ফরেন এইডের আন্ডারে।