এলিসন সুঙ, মৌলভীবাজার।। গভীর উৎসাহ ও  উদ্দীপনা নিয়ে,ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপন হলো  খ্রিষ্টান ধর্মাম্বলীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জপমালা রাণী মা মারীয়া তীর্থোৎসব।এবছর  জপমালা রানী মা মারীয়া  তীর্থের  প্রার্থনা মূলভাব  হলো “বিশ্বাস গঠনে মা মারীয়া সাথে একত্রে পথ চলা “এই মুলসুরকে সামনে রেখে  মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা অধীনে হরিণছড়া চা বাগান তীর্থ স্থানে গতকাল  শনিবার  বিকেল ৫টায় আরম্ভ হয়ে আজ রোববার  বিকেল দিকে এই  ধর্মীয় তীর্থ উৎসবটি শেষ হয়। 
 রবিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১১টায়  তীর্থ স্হানে নবনির্মিত সাধু যোসেফ নামে গীর্জা’টি শুভ উদ্বোধন ও আশীর্বাদ  করেন সিলেট ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ।তারই মধ্যদিয়ে  তীর্থের মূলপর্ব  মহা খ্রিস্টযাগ অনুষ্ঠিত   হয়  ।মহা খ্রিষ্টযাগ  উৎসর্গ করেন সিলেট ধর্মপ্রদেশের  বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস  গমেজ।
 উপস্থিত থেকে খ্রীষ্টযাগে সহযোগীতা করেন শ্রীমঙ্গল ক্যাথলিক মিশনের পাল- পুরোহিত   ফাদার নিকোলাস বাড়ৈ সিএসসি, সহকারী যাজক  ফাদার কেবিন ,নটরডেম স্কুল এন্ড কলেজের   ভাইসপ্রিন্সিপাল ফাদার মৃণাল ম্রং সিএসসি,  সুনামগঞ্জ রাজাই মিশনের পাল-পুরোহিত ফাদার  যোসেফ তপ্নসহ আরও উপস্থিত ছিলেন  দেশের  বিভিন্ন এলাকা থেকে মিশনের ২০জন ফাদার, ব্রাদার,সিস্টারসহ  ১০ হাজার অধিক ধর্মীয় বিশ্বাসী খ্রিস্টভক্ত।
এই তীর্থোৎসবে তীর্থযাত্রী  খ্রিষ্টভক্তরা ব্যক্তিগত মানত, উদ্দেশ্য প্রার্থনা,পর্বকর্তা,  অনুতাপ প্রার্থনা(পাপস্বীকার),আরাধনা সংস্কার,জীবন্ত ক্রুশে পথ ও জপমালা রানী মা-মারীয়া  কাছে বিশেষ করে মানব  কল্যানে প্রার্থনা করা হয়।
খ্রিস্টযাগে বাইবেল সহভাগীতা সময় বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস  গমেজ বলেন ঈশ্বর  কুমারী মারীয়াকে বেছে  নিয়েছে তার পুত্রের জননী হওয়া জন্যে, মা মারীয়া হলো উদ্বারকর্তা যিশু খ্রিষ্টের মা।জপমালা প্রার্থনা সময় স্তবে মা মারীয়াকে বলা হয় অমলোদ্ভবা মারীয়া, ঈশ্বর পবিত্রা জননী, পাপীদের আশ্রয়, স্বর্গের রানী, পরিবার রানী,প্রেরিতগনের রানী ও শান্তি রানী রূপে,মা মারীয়াকে প্রেরিতগনের রানী বলা হয় কারণ মহান ঈশ্বর তাকে প্রভু যীশু খ্রিষ্টের মা হওয়ার জন্য বেছে নিয়েছেন এবং ঈশ্বর আদেশে কুমারী অবস্থায় গর্ভধারণ করে জন্মদান করেন মুক্তিদাতা যীশু খ্রিষ্টকে।মা মারীয়া প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করার জন্যে মাতামণ্ডলী( ক্যাথলিক মণ্ডলী)  প্রতি বছর অক্টোবর মাস জপমালা রানী মা মারীয়া মাস হিসাবে ঘোষণা করেছেন। এই মাসে ক্যাথলিক  খ্রিস্টভক্তারা সারা মাসব্যাপী জপমালা প্রার্থনা  মাধ্যমে পারিবারিক প্রার্থনা, নভেনা প্রার্থনা করে থাকেন।
 তীর্থ উদযাপন কমিটি সেক্রেটারী মি: ডমিনিক। সরকার রনি বলেন এই বছর আমরা এই স্হানে ৩৩তম জপমালা মা মারীয়া তীর্থ পালন করছি।  বিগত বছর আমরা কোভিড-১৯ কারণে  সীমিত আকারে জপমালা মা মারীয়া তীর্থ উদযাপন করেছি।এবছর পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক  হওয়াতে এবং প্রশাসন ও উদ্বার সহযোগীতায় কারণে প্রতি বছর ন্যায় জপমালা মা মারীয়া তীর্থ  আয়োজন করেছি। যেহেতু এই হরিণছড়া  জপমালা রাণী মা-মারীয়া তীর্থ স্থানটি সিলেট ধর্মপ্রদেশের একমাত্র তীর্থ স্থান,  এখানে সিলেট বিভাগে সকল জেলা-উপজেলায় বসবাসরত ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মাম্বলী ও দেশের বিভিন্ন  বিভাগের খ্রিস্ট বিশ্বাসীরা তীর্থোৎসব অংশগ্রহণ করে প্রার্থনা করেন ও  বিভিন্ন ব্যক্তিগত মানত রেখে পর্বকর্তা   খ্রিস্টযাগে  উদ্দেশ্য প্রার্থনা করে থাকেন।
Share.
Exit mobile version