বিশেষ প্রতিনিধি।। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বেগারিতলায় কাভার্ড ভ্যান হোটেলে ঢুকে পড়ায় পিতা-পুত্রসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে দুজন বাবা-ছেলে ও দুজন দাদা-নাতি। অপরজন শ্রমিক। নিহতরা হলেন- মণিরামপুর উপজেলার টুনিয়াঘরা গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান পঁচা (৪৮) ও তাঁর ছেলে তাওহিদ হাবিব তাওসি (৬), একই গ্রামের মীরপাড়া এলাকার শামসুর রহমান মীর (৬৮) ও তাঁর পৌত্র (ভাতিজার ছেলে) তৌহিদুল ইসলাম মীর (৩৮) এবং জয়পুর গ্রামের আব্দুল মমিনের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম (৩৫)।

স্থানীয় ৩ নম্বর ভোজগাতি ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নূরুজ্জামান পাপ্পু প্রতক্ষ্যদর্শীদের বরাত দিয়ে বলেন, নিহত বাবা-ছেলে আমার ওয়ার্ডেরই সদস্য। তাঁরা দুজন নাশতা করতে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ড ভ্যানটি এসে পেছন থেকে প্রথমে বাবা-ছেলেকে চাপা দেয়। এরপর হোটেলে নাশতারত অন্যদের কাভার্ড ভ্যানটি চাপা দেয়। এতে পাঁচজন মারা যান।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, সকালে রাজারহাটের দিক থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ন ২০-১৭৫১) বেপরোয়া গতিতে যশোর-সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে মণিরামপুরের দিকে যাচ্ছিল। সকাল ৭টার দিকে কাভার্ড ভ্যানটি মণিরামপুর উপজেলার বেগারীতলা এলাকায় পৌঁছে। এ সময় কাভার্ড ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারালে মহাসড়কের পাশ দিয়ে হোটেলে নাশতা করতে যাওয়া হাবিবুর রহমান ও তাঁর ছেলে তাওহিদ হাবিব তাওসিকে চাপা দিয়ে সামনের আবু তালেব খানের হোটেলে ঢুকে পড়ে। এরপর কাভার্ড ভ্যানটি হোটেলের সামনে নাশতা করতে থাকা মীর শামসুর রহমান, তৌহিদুল ইসলাম মীর ও জিয়ারুল ইসলামকে চাপা দেয়। পাঁচজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

মণিরামপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা প্রণব কুমার বিশ্বাস বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছি। এরপর হাইড্রোলিক যন্ত্র ব্যবহার করে কাভার্ড ভ্যানের নিচ থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করি। কাভার্ড ভ্যানটি প্রথমে হোটেলের দিকে আসতে থাকা বাবা ও ছেলেকে চাপা দেয়, এরপর হোটেলের ভেতরে ঢুকে পড়ে। সেখানে তিনজনের মৃত্যু হয়।

মণিরামপুর থানার ওসি শেখ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান পাশের একটি হোটেলে ঢুকে পড়ায় পাঁচজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পিতা ও পুত্র রয়েছেন। কাভার্ড ভ্যানটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও চালকের সহকারী পালিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Share.
Exit mobile version