নিজস্ব প্রতিবেদক।। এক সময়ের খরস্রোতা খাল এখন অস্তিত্বহীন। শুধু বর্ষা মৌসুমেই দেখা দেয় জলাবদ্ধতা আর  শুষ্ক মৌসুমে থাকে  পানি শূন্যতায়। তাই  প্রতিকূলতার মধ্যে বরিশালের গৌরনদী   উপজেলার ইরি চাষি  কৃষকরা জমি চাষাবাদ করে আসছেন। তারা জোয়ারের পানির উপর ভরসা করে চাষাবাদ করছেন। 

একসমে খরস্রোতা খালটি দিয়ে গৌরনদী  উপজেলার চন্দ্রহার বাজার, বাটাজোর বাজারে নৌকা ও ট্রলারে মালামাল পরিবহন করা হতো। কিন্তু সেই খাল মানচিত্রে থাকলেও  আজ দখল ধারদের কবলে পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। 

শীতের শুষ্ক এই মৌসুমে আগরপুর বাজার থেকে বাটাজোর ও উজিরপুর উপজেলার ধামুরা খাল পর্যন্ত পুরোটাই শুকিয়ে থাকে। জোয়ার নাগাদ শেষে খালটিতে কিছুটা পানি আসলে তা ইরি চাষের প্রয়োজনে সেচ করা হয়।

স্থানীয় ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ভূমি খাদকরা নামে বেনামে খালের পার বন্দোবস্ত নিয়েছে। তাই খাল জুড়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে ভরাট করে ফেলছে খালটি। এছাড়া অপরিকল্পিত বাঁধ ও কালভাট নির্মাণ করায় খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে।  বর্ষাকালে পানির দেখা মিললেও  শুকনো মৌসুমে দেখা দেয় তীব্র পানি সংকট।

সরজমিনে দেখা গেছে, ইরি চাষের সেচ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। খালের কিছু কিছু অংশে বাঁধদিয়ে মাছ ধরছেন স্থানীয়রা। খরস্রোতা খালটি বেশিই রয়েছে দখলদারদের কবলে। চন্দহার বজার ও বাটাজোর এলাকা খালের মধ্যে অবৈধভাবে  নির্মাণ করা হয়েছে পাকা দোকান ও মোটা পিলার দিয়ে ব্যক্তিগত ছোট ব্রিজ। ফলে কালে কালে ভরাট হয়ে যাচ্ছে আগরপুর থেকে বয়ে যাওয়া বাটাজোর চন্দ্রহারের খালটি।

এ বিষয়ে গৌরনদী  উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)  তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।

 

Share.
Exit mobile version