কামরুল হাসান সোহাগ
সকল প্রকার অবৈধ কাজ ও ভাবনা হতে নিজেকে মুক্ত করাই হলো রমজান। আজ বৃহস্পতিবার (১৩’এপ্রিল) রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের বারতাবাহী পবিত্র মাহে রমজানের ২১ তম দিন। আত্মশুদ্ধির মাস, আত্মপোলব্ধির মাস, কৃচ্ছ সাধনের মাস রমজান। পবিত্র এ মাসে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আমরা নিজেদের সমুদয় দুনিয়াবী কামনা-বাসনাকে বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর একনিষ্ঠ অনুগত হওয়ার শক্তি সঞ্চয় করি।
এ মাস মানুষের সমস্ত আমিত্ব, কুপ্রবৃত্তি, খোদাদ্রোহিতা ও নফসের দাসত্ব জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেয় বলে এ মাসের নাম হয়েছে ‘রমজান’। ‘সিয়াম’ অর্থ বিরত থাকা বা পরিত্যাগ করা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় সিয়াম মানে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (স.) নির্দেশ মোতাবেক সুবেহসাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়তসহ যাবতীয় পানাহার ও যৌন ক্রিয়াকর্ম থেকে বিরত থাকা। অবশ্য এটা হলো রোজা বা সিয়ামের দৈহিক দিক। আরও ব্যাপক অর্থে- যাবতীয় অবৈধ কাজ হতে বিরত থাকা ও অসৎ ভাবনা হতে মুক্ত থাকা হলো রূহের সিয়াম সাধনা। এরও উর্ধে রয়েছে সিয়ামের আরেক পর্যায়। তা হলো একমাত্র আল্লাহ্ ব্যতীত আর সবকিছু হতে হৃদয়-মন মুক্ত রাখা। অন্তরে একমাত্র অন্তর্যামীকে স্মরণ করতে হবে। অন্য কিছুর স্থান থাকবে না। আল্লাহ ব্যতীত আর কিছুর প্রতি মন যাবে না। এরূপ সিয়াম পালন হলো আল্লাহর খাস বান্দাদের বৈশিষ্ট্য।
আত্মশুদ্ধির পবিত্র এই মাস পেয়েও আমরা যদি এর হক ও করণীয়গুলোর ব্যাপারে উদাসীন্য প্রদর্শন করি কিনবা নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে ব্যার্থ হই তাহলে তা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন প্রকৃত মুসলমানের উচিত মহিমান্বিত এই মাসের সদ্ব্যবহার করা এবং এর যথার্থ কল্যাণ হাসিল করা। রমজানের প্রকৃত উদিশ্য যাতে আমাদের ব্যক্তি জীবন ও সমাজ জীবনে পরিপূর্ণভাবে প্রতিফলিত হয় সেদিকে আমাদের সকলকে হতে হবে আন্তরিক। এ ব্যাপারে জাতি-ধর্ম-বর্ন সবার সমান দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।
লেখক- সহকারী সম্পাদক, ডেইলি রাঙা প্রভাত
প্রধান পৃষ্ঠপোষক- সম্ভাবনার কলসকাঠী