প্রায় সারাদিনই থাকছে লোডশেডিং, আর সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই শুরু হয় থেমে থেমে লোডশেডিং, আর এ বিদ্যুতের ভেলকিবাজি খেলা চলে রাতভর। প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
লোডশেডিং, টেকনিক্যাল সমস্যা, ওভার লোড ও লো-ভোল্টেজ ছাড়াও রয়েছে ঘন ঘন ট্রিপ ও সোর্স লাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজের অজুহাত । এছাড়া আকাশে মেঘ জমতে দেখলেই শুরু হয় লোডশেডিং। আর একটু বৃষ্টি হলে তো আর কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকবেই। সেটা যেন এখন নিয়মেই পরিণত হয়েছে।
বিদ্যুৎ থাকুক বা না থাকুক মাস শেষে মোটা অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল ধরিয়ে দিতে ভুল করেনা বিদ্যুৎ বিভাগ।
অভিযোগ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক না থাকলে বিদ্যুৎ বিল বেড়েই চলেছে। আবার এক মাস অথবা সর্বোচ্চ দুমাস বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়লেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে খুবই ওস্তাদ বিদ্যুৎ বিভাগের লাইন ম্যানেরা।
তাই দুই উপজেলার মানুষ বিদ্যুতের ভেলকিবাজি নিয়ে পড়েছেন মহা বিপাকে।
দিনের বেলায় কমপক্ষেও ৬ থেকে ৮ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করে। গত কয়েক দিন ধরে তো দিনের বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ দেখা যাচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে গ্রাহকরা।
এর মাঝে গৌরনদী পৌর শহরে একটু-আধটু বিদ্যুৎ চালু থাকলেও গ্রামে বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করছেই। তাছাড়া এমন অবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্যেও মন্দা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিভিন্ন কারখানার মালিকরগন ও স্বমির মালিকরা জানায়, আমরা কবে এই বিদ্যুতের ঝামেলা থেকে মুক্ত পাব। বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে আমরা ঠিকমত মেশিন চালাতে না পারায় ব্যবসাও হচ্ছে না। এমতাবস্থায় আবার মাস শেষে শ্রমিকের ঠিকই বেতন পরিশোধ করতে হচ্ছে।