রাঙা প্রভাত ডেক্স।।  এবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর নাম ঘোষণা হবে অক্টোবরে। তবে এখন থেকেই এ বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। কার হাতে উঠবে ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত এ পুরস্কার? লিওনেল মেসির অষ্টম নাকি আর্লিং হলান্ডের প্রথম। সাবেক ফুটবলাররাও যোগ দিচ্ছেন এ আলোচনায়। ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার রোনালদোর মতে, এবার ব্যালন ডি’অর জিতবেন মেসিই। বিশ্বকাপ জয়ই তাকে এগিয়ে রাখছেন বলে মন্তব্য করেন তিনবারের বিশ্বসেরা ফুটবলার।

ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের আরও একটা মৌসুম শেষ। ক্লাবগুলো ব্যস্ত পরবর্তী মৌসুমের জন্য দল গোছানো নিয়ে। আপাতত আগামী মাস দুয়েক দলবদলের খবরই আসবে শিরোনামে। এরই মধ্যে পিএসজি ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন লিওনেল মেসি। দলবদলের তালিকায় নাম উঠতে পারে আরও বেশকিছু তারকার।

তবে এখন একটা বিষয় নিয়েই চলছে আলোচনা। সেটা হচ্ছে ব্যালন ডি’অর। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর জানানো হবে মনোনীতদের নাম; আর ৩০ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে বিজয়ী। কয়েক মাস সময় বাকি থাকলেও ঘুরে ফিরে আসছে দুটো নাম। বিশ্বকাপজয়ী লিওনেল মেসি ও ম্যান সিটির ইতিহাস গড়া ট্রেবল জয়ী আর্লিং হল্যান্ড।

ব্যালন ডি’অরের বর্তমান মালিক করিম বেনজেমা এবার আলোচনায় নেই। বিশ্বকাপ মিস করেছেন ইনজুরিতে। ক্লাবের হয়ে একটি শিরোপা জয়ের পাশাপাশি ৩১ গোল করলেও খুব একটা নজরকাড়া পারফর্ম করেননি।

অন্যদিকে, আর্লিং হলান্ড ক্লাবের হয়ে ৫৩ ম্যাচে করেছেন ৫২ গোল। সব মিলিয়ে মৌসুমজুড়ে ৫৩ গোল আর ৯টি অ্যাসিস্ট আছে নরওয়েজিয়ান গোল মেশিনের। দলকে ঐতিহাসিক ট্রেবল জেতাতে ভূমিকা রেখেছেন সামনে থেকে। এছাড়াও জিতেছেন বেশকিছু ব্যক্তিগত পুরস্কার। মেসিকে টেক্কা দিতে এ পরিসংখ্যানকে যথেষ্ট বলাই যায়!

একটা রীতি অবশ্য মেসিকে কিছুটা হলেও পিছিয়ে রাখছে। গেল তিনটি বিশ্বকাপে শিরোপাজয়ী দলের কোনো খেলোয়াড়ের হাতে ওঠেনি ব্যালন ডি’অর। ২০১০ সালে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন মেসি। এটা নিয়ে তুমুল বিতর্কও হয়েছিল। ক্লাবের হয়ে ৬০ গোল করলেও জিতেছিলেন শুধু লা লিগা ট্রফি। বিশ্বকাপেও ছিলেন ফ্লপ। অন্যদিকে ইন্টার মিলানকে ট্রেবল ও নেদারল্যান্ডসকে বিশ্বকাপে রানার্সআপ করিয়েও ব্যালন ডি’অরের তালিকায় চতুর্থ হয়েছিলেন ডাচ ফুটবলার ওয়েসলি স্নাইডার।

এবার শেষ পর্যন্ত কী হয় তার জন্য অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১০০’তে থাকা সাংবাদিকদের ভোটে নির্বাচিত হয় ব্যালন ডি’অর জয়ী।

Share.
Exit mobile version