গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি।। পারিবারিক কলহের জেরধরে পুত্রবধুদের হাতে বৃদ্ধা শাশুরী হেরোনা বেগম (৬৩) খুন হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্ত দুই পুত্রবধু, ছেলে ও নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিবাগত রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চর দিয়াশুর গ্রামে। নিহত হেরোনা ওই গ্রামের হায়দার প্যাদার স্ত্রী।
নিহতের ভাই মনির হোসেন সিকদার অভিযোগ করে বলেন, প্রায়ই তার বোন হেরোনা বেগমকে সৌদি প্রবাসী ভাগ্নের স্ত্রী রাখি বেগম, ছোট ভাগ্নে সুমন প্যাদা ও স্ত্রী তুলি বেগম শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিলো। গত পাঁচদিন পূর্বেও তার বৃদ্ধা বোনকে মারধর করে পুত্রবধুরা। সোমবার আমার বোনের মেয়েরা তাদের বৃদ্ধা মাকে (হেরোনা) দেখতে বাবার বাড়ি চর দিয়াশুর আসলে পুত্রবধুরা বৃদ্ধা হেরোনা ও তার মেয়েদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে বাবার বাড়ি থেকে রাগ করে চলে যায় হেরোনার মেয়েরা। এনিয়ে ওইদিন রাতে পুত্রবধুদের সাথে বাগ্বিতন্ডার একপর্যায়ে শাশুরি হেরোনা বেগমের মাথায় সীল পাটার পূতো দিয়ে আঘাত করা হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে তার মৃত্যু হয়।
অভিযোগ করে নিহতের ভাই আরও বলেন, হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে বাড়ির পাশে একটি বাথরুমে লাশের গলায় ফাঁস লাগিয়ে হাটু ভাজ করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। মঙ্গলবার সকালে হেরেনা আত্মহত্যা করেছে বলে আমার ভাগ্নে (নিহতের ছোট ছেলে) সুমন প্যাদা গৌরনদী মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি হত্যাকান্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করেন। একপর্যায়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুত্রবধু রাখি বেগম, তুলি বেগম, পুত্র সুমন প্যাদা ও স্বামী হায়দার প্যাদাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। এবিষয়ে গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারমিন সুলতানা রাখী জানান, সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঝুলন্ত অবস্থায় নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি হত্যাকান্ড বলে মনে হয়েছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে।