আটককৃতদের দেশটির ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ অনুযায়ী তদন্তের জন্য বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে কুয়ালালামপুরের জালান বাংসারের আবদুল্লাহ হুকুম অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে অনিবন্ধিত এই বিদেশি নাগরিকদের আটক করা হয়।

কুয়ালালামপুরের ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক সামসুল বদরীন মহসিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বিদেশিদের গতিবিধি সম্পর্কে সপ্তাহব্যাপী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিবাসন বিভাগের ৮৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ১৪ তলা ভবনের ১২৫টি বাসায় পরিদর্শন করেন।

এ সময় এক হাজারেরও বেশি দেশি-বিদেশি নাগরিকদের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করা হয়। তার মধ্যে দেশটিতে বসবাসের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ৫২৮ জন পুরুষ, ৩৮ জন নারী ও একটি শিশুকে আটক করা হয়।

আটক হওয়া ৫৬৭ জনের মধ্যে ২৫২ জন বাংলাদেশি, নেপালের ১৬৩ জন, মিয়ানমারের ৭৫ জন, ইন্দোনেশিয়ার ৭২ জন, ফিলিপিন্সের ৪ জন এবং ভারতের ১ জন নাগরিক রয়েছেন।

সামসুল বলেন, আটককৃতদের অনেকেই সামাজিক ভিজিট পাস ব্যবহার করে দেশটিতে প্রবেশের পর ওই আবাসিক ভবনের আশেপাশের এলাকায় কাজ করছেন। অভিযান চলাকালে একজন ব্যক্তি দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।

আটকদের দেশটির ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ অনুযায়ী তদন্তের জন্য বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ইমিগ্রেশন আইনের অধীনে আরও অধিকতর তদন্তের কথা জানিয়ে পরিচালক বলেন, আমরা স্থানীয় জনগণের দেয়া অভিযোগ এবং নানা তথ্যের ভিত্তিতে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। এ বিষয়ে কোনো আপস করা হবে না।

অবৈধ অভিবাসীদের কাছে বাসা ভাড়া দেয়ার কারণে বাড়ির মালিকদের খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

Share.
Exit mobile version