রাঙা প্রভাত ডেস্ক:- অভিনয়ের যুবরাজ খালেদ খান ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর ৫৫ বছর বয়সে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। খালেদ খান ১৯৫৮ সালের ৯ ফেব্রæয়ারি টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে ১৯৮১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি কম এবং ১৯৮৩ সালে ফিন্যান্স বিষয়ে এম কম সম্পন্ন করেন।

নব্বই দশকে তার একটি সংলাপ ‘ছিঃ ছিঃ, তুমি এত খারাপ’ ছড়িয়ে পড়েছিল দিকে দিকে। এখনো এই সংলাপটি বললেই তার ছবি ভেসে ওঠে চোখের সামনে।

তাকে ঘিরে কোনো রকম আয়োজন ছাড়াই তার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীর দিনটি কেটেছে । শুধুমাত্র তাকে স্বরণ করে কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তার ছবি পোস্ট করে। এরবাইরে আর তেমন কোনো আয়োজন ছিল না কোথাও।

শুক্রবার সন্ধ্যায় খালেদ খানের মেয়ে ও সংগীতশিল্পী জয়িতা খান তার বাবাকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসে জয়িতা লিখেছেন, ‘বাবা কে নিয়ে আর বেশি ভাবতে যাই না। কিছুটা এড়িয়ে চলি বলা যায়। ভালো স্মৃতি, হাসির কিছু, সেসব বলে বা ভেবে হাসি হয়তো প্রায়ই!

কিন্তু বেশি মনোযোগ দিয়ে ভাবতে গেলে যেই ভয়াবহ শূন্যতা ভর করে সেটা আর ভালো লাগে না। বছরের পর বছর একই রকমই আছে শূন্যতাটা। একটুও এদিক সেদিক হয় না। তাই বাবা কে নিয়ে নতুন কিছু লিখিও না। ভাবিই না যেহেতু,লিখবো কি করে? এমন কি এই লেখাটাও আমি অনেক দিন হল পড়ি না। এটাও অ্যাভোয়েড করি। আজ বাবার ষষ্ঠ প্রয়াণ দিবস। আমি শুধু বলতে চাই, বাবাহীন জীবন খুব কঠিন। বাবাহীন জীবন অভিশপ্ত।’

এর আগে বাবার সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে জয়িতা খান লিখেন, ‘আজ আমার পিতৃহীন হবার ৬ বছর, ২১৯০ দিন।’

খালেদ খান বিশিষ্ট মঞ্চ ও টিভি অভিনয়শিল্পী এবং নির্দেশক হিনেসবে প্রশংসিত ছিলেন । তিনি দীর্ঘ ২৮ বছর নিয়মিত থিয়েটার ও টিভি নাটকে অভিনয় করে শক্তিমান এক অভিনেতায় পরিণত হয়েছিলেন ।
বিশেষ করে নব্বই দশকে একাধিক টিভি নাটকে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান ওই অভিনেতা। মঞ্চে তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’, অচলায়তন, নুরালদীনের সারা জীবন, ‘ঈর্ষা’, দর্পণ, গ্যালিলিও ও ‘রক্তকরবী’।

মঞ্চ নাটকে অনবদ্য অবদানের জন্য মোহাম্মদ জাকারিয়া পদক, সেরা অভিনেতা হিসেবে নুরুন্নাহার স্মৃতিপদক, সেরা পরিচালক হিসেবে সিজেএফবি পুরস্কার এবং সেরা টিভি অভিনেতা হিসেবে ‘ইমপ্রেস-অন্যদিন’ পুরস্কার অর্জন করেছিলেন তিনি। তিনি আজ নেই, তবে তার রেখে যাওয়া সৃষ্টিকর্ম চিরদিন থেকে যাবে অম্লান হয়ে। আপনি যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন প্রিয় যুবরাজ।

Share.
Exit mobile version