নিজস্ব প্রতিবেদক।। বরিশালের উজিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবি এম জাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিনি দুই হাজার ২০ শালে উজিরপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। এবং সেই থেকেই একের পর এক দূর্নীতি করে আসছে। অনিয়ম-দুর্নীতিতে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, এমপিও বিভিন্ন প্রশিক্ষণসহ সবক্ষেত্রেই তার দূঅনীতি বিরাজমান। ছেলে সেনাবাহিনীর অফিসার সেই ক্ষমতা ব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
২০২২ সালে উজিরপুরে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি করা জন্য ব্যানবেইস শিক্ষকদের নামে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তখন ক্ষমতাশালী কিছু শিক্ষকদের ওই পাঁচলক্ষ টাকা থেকে অল্পপরিমাণ টাকা দিয়েছিল এবং বাদবাকি টাকা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আত্মসাৎ করেছেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে ক্ষমতাশালী ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তিনি। এমন অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সুত্রে, তিনি ২০২৩ সালে পুনরায় ব্যানবেইস কাজের জন্য শিক্ষকদের নামে তিনলক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়, সেই তিনলক্ষ টাকা সবই তিনি আত্মসাৎ করেন। বর্তমান চলতি বছরে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি খোলার জন্য প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা বরাদ্দ এসেছে। এমন খবর উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানতে পেয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা এবি এম জাহিদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করিলে তিনি বলেন তার কাছে এবছরের ইউনিক আইডি খোলার কোন টাকাই আসেনি। অথচ জেলার সকল উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ওইখাতের টাকা পেয়েছেন। তিনি এ টাকাও নিজের করে নিয়েছেন। সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম আর দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন এ কর্মকর্তা। শিক্ষা কর্মকর্তা এবি এম জাহিদ হোসেনের অনিয়ম-দুর্নীতি এবং হয়রানির কারণে উপজেলা শিক্ষক মহলে ব্যাপক সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
শিক্ষকরা জানান, প্রতিবছরই শিক্ষকদের নামে ইউনিক আইডি খোলার জন্য সরকার থেকে সম্মানী বরাদ্ধ থাকে। সেই বরাদ্দের টাকা মুষ্টিমেয় কিছু শিক্ষকদের দিয়ে বাদবাকি টাকা তিনি আত্মসাৎ করে। নুতন কারিকুলাম বাস্তবায়ন বিষয়ক ২য় পর্যায়ের প্রশিক্ষণ জুন মাসের প্রথম দিকে শেষ হয়। এই প্রশিক্ষণে শিক্ষক দের সন্মানি ব্যাংক হিসাব নাম্বরে প্রেরন করার কথা থাকলেও এযাবৎ কারো হিসাব নাম্বরে টাকা পাঠানো হয়নি বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন।
এমন দুর্নীতিবাজ শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে আইনি কঠোর ব্যবস্থা নিতে উজিরপুর উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একমত প্রকাশ করেছেন।
শিক্ষা অফিসার এবি এম জাহিদ হোসেনের সাথে এব্যাপারে আলাপ করতে চাইলে তার মুঠো ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।