
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা)।। আশাশুনি উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের মেম্বার আঃ গফফারকে গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার বিকাল ৫ টায় আশাশুনি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগি গোলাম মোস্তফা।
শোভনালী ইউনিয়নের বাঁকড়া গ্রামের মৃত আঃ জলিল সরদারের ছেলে গোলাম মোস্তফা লিখিত বক্তব্যে জানান, আমার পিতা ২০০০৫ সালে নিখোজ হয়ে যায়। আমি তখন ৭ম শ্রেণিতে পড়তাম। আমরা ২ ভাই ও ৩ বোন। আব্বা মৃত্যুর সময় ৪০ বিঘা জমি রেখে যায়। সেই থেকে আমরা জমিতে মাছ চাষ ও কিছু জমি হারী দিয়ে ভোগজাত করে আসছি।আমার একটি মুরগির খামার আছে। বৈধ আয়ে আমি সংসার নির্বাহ করি। আমি রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নই। ২০০৬ সালে সাড়ে ৬৭ শতক জমি ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ইউপি সদস্য আব্দুল গফফারের কাছে হারি দিয়েছিলাম। হারি নেওয়া জমি গফফার গোপনে গোপনে ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি সাজ্জাদ হোসেনের কাছে হারী দেয়। আমরা জানতে পেরে ফিরিয়ে নিতে গেলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দেয়নি। আমরা আওয়ামী দুঃশ্বাসনের সময় ও ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত জমি দখল করতে পারি নাই। এপ্রিল মাসে ইউনিয়ন বিএপির সাবেক আহবায়ক আহসান হাবিব ও সাবেক সদস্য সচিব জুলফিকার আলী ভুট্ট’র কাছে অভিযোগ করলে তারা সালিশের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ভাবে আমাদের জমি বের করে দেন। এই জমি বের করা পর্যন্ত তারা বা কেউই আমার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অনিয়ম, দূর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ করেনি। উদ্ধারকৃত জমি মোঃ তোতা সরদারের কাছে ১৩/০৫/২৫ তারিখ ডিড প্রদান করি। ডিডের স্বাক্ষী সাবেক মেম্বর ওহাব আলী সরদার, মেম্বর আঃ গফফার ও কবির আহম্মেদ। কিন্তু তোতা সরদার ডিডের স্বাক্ষী মেম্বর আঃ গফফারের কাছে এই জমির ডিভ দিলেরদ মেম্বার জমির বাঁধ কেটে তার ঘেরের সাথে একাকার করে নিয়েছে। আমি মেম্বরকে জমি ছেড়ে দিতে বললে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মেম্বর ও তার সহযোগিরা আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার ও চাঁদা না দিলে হত্যার হুমকী দিয়েছে। এমনকি গফফার ও সাজ্জাদের কমিটিতে কৌশলে আমার নাম বসিয়ে আমাকে আওয়ামীলীগার বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমি যদি তাদের কমিটির সভাপতি থাকতাম এবং এমপি রুহুল হক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাহেবের সাথে সম্পর্ক থাকতো তাহলে তারা কিভাবে আমার জমি জবর দখল করে নিলো।
মেম্বর গফফার আওয়ামীলীগের সক্রীয় নেতা। এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতির সাথে মেম্বর গফফারের বহু ছবি রয়েছে। আমার কোন ছবি কি তারা দেখাতে পারবে? আমি আওয়ামীলীগের আমলে তাদের দারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আমার কোন দাপট তখনও ছিলনা, এখনও নেই। অথচ তারা আমাকে জড়িয়ে অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় অপ-প্রচার চালাচ্ছে। এব্যাপারে তিনি সঠিক তথ্য প্রচার ও প্রশাসনের কাছে আওয়ামীলীগ নেতা আঃ গফফারের কর্মকান্ড তদন্ত করে গ্রেফতার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।