
পলাশ কর্মকার, কপিলমুনি (খুলনা)। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে কপিলমুনি এলাকার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে অত্যন্ত ব্যাস্ততার সাথে চলছে প্রতিমা প্রস্তুতে কাজ। প্রতিমা ভাস্করদের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় প্রতিটি বিগ্রহ দেবতার রুপ পাচ্ছে। মন্ডপগুলো যেন ভাস্করদের সাধনাস্থলে রুপ নিয়েছে।
সরেজমিনে মন্ডপগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি মন্ডপেই প্রতিমা শিল্পীরা দুর্গা প্রতিমা তৈরী ও মন্দির সাজানো কাজ করে চলেছেন। এলাকার উল্লেখযোগ্য মন্ডপগুলোর মধ্যে রয়েছে কপিলমুনির মিলন মন্দির (কালীবাড়ী) পূজা মন্ডপ, নাছিরপুর মিতালী যুব সংঘ (সিংহবাড়ী) পূজা মন্ডপ, কপিলমুনি পূর্বপাড়া হরিসভা পূজা মন্ডপ, কাশিমনগর সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, কাশিমনগর সাধুপাড়া পূজা মন্ডপ, কাশিমনগর দাসপাড়া পূজা মন্ডপ, নাবা পূজা মন্ডপ, গোয়ালবাথান পূজা মন্ডপ, চিনেমলা পূজা মন্ডপ, হাউলী সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, নাবা হরিতলা পূজা মন্ডপ, আগরা পূজা মন্ডপ, কাশিমনগর হরিসভা পূজা মন্ডপ, মামুদকাটী পূজা মন্ডপ, হরিদাশকাটী পূজা মন্ডপ, নোয়াকাটী পূজা মন্ডপ, হরিঢালী পোদ্দারপাড়া পূজা মন্ডপ, রামনাথপুর পূজা মন্ডপ।
পূজা উদ্যাপন পরিষদ জানিয়েছে, এবছর পাইকগাছা উপজেলায় ১৪৪টি মন্ডপে পূজা উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে, তার মধ্যে কপিলমুনি ১৬ ও হরিঢালী ইউনিয়নে ১৭টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার শুভমহালয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরাণ মতে এদিন দেবীর চক্ষু দান করা হয়। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার দেবী দুর্গার বোধন, ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার ষষ্ঠী পূজা’র মধ্যদিয়ে দূর্গতীনাশিনী দেবী দুর্গা’র পূজার শুভ সূচনা ঘটবে, আর ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে পূজার সমাপ্তী ঘটবে।
পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা করা হবে। পুলিশের মোবাইল টিম, আনছার ও গ্রামপুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। প্রতিটা পূজা মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে, পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার রাখবো ’।

