বরিশাল অফিস:- জেলার উজিরপুর উপজেলার পূর্ব ওটরা গ্রাম থেকে কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় পিতা-পুত্রকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। মৃত কাওসার হোসেনের কঙ্কাল উদ্ধারের পর দায়েরকৃত হত্যা মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-উপজেলার মধ্য কেশবাকাঠী গ্রামের আব্দু ছালাম মৃধা (৬০) ও তার পুত্র রিয়াজ মৃধা (২৫)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উজিরপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হবে। এরআগে বুধবার বিকেলে তাদের গ্রেফতার করে বরিশাল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোর্পদ করা হয়। পরে আদালতের বিচারক সানা মোঃ মাহরুফ হোসাইন গ্রেফতারকৃতদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৭ জানুয়ারি বিকেলে বাসা থেকে বের হয়ে উজিরপুরের পূর্ব ওটরা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হালিম হাওলাদারের পুত্র কাওসার হোসেন (৩২) নিখোঁজ হন। এরপর দীর্ঘদিনেও তার খোঁজ মেলেনি। পরে একইবছরের ৫ ডিসেম্বর সকালে পূর্ব ওটরাস্থ মান্নান মিয়ার নির্জন বাগানের শুকনো ডোবা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে হালিম হাওলাদার ও তার স্বজনরা ঘটনাস্থলে যান এবং কঙ্কালের শরীরে জড়ানো সাদা রংয়ের জ্যাকেট এবং একটি মানিব্যাগের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয় এটি মৃত কাওসার হোসেনের কঙ্কাল। পরে ওইদিনই এ ঘটনায় মৃত কাওসারের পিতা হালিম হাওলাদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় থানা পুলিশ তদন্তে নেমে ৪০ দিনের মধ্যে একটি ক্লু খুঁজে পায়। সেই ক্লু অনুযায়ী গ্রেফতারকৃত ছালাম মৃধার কন্যা খাদিজা বেগম (২৮) ও প্রবাসী পুত্র তুহিন মৃধার সাবেক স্ত্রী শিমু বেগমের (২২) সাথে মৃত কাওসারের পরকীয়া ছিলো বলে জানতে পারে পুলিশ। পাশাপাশি কাওসারের পরকীয়া সম্পর্কের জেরধরেই তুহিন মৃধার সাথে তার স্ত্রী শিমু বেগমের বৈবাহিক সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে বলে জানতে পারেন। এসব ঘটনার পর গ্রেফতারকৃত আসামিসহ তাদের আত্মীয়-স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসা সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, নিখোঁজের আগ মুহুর্তে ওটরা রাস্তার মাথার বাজারে আসামিরা ও তাদের সহযোগিরা কাওসার হোসেনের সাথে চা পান করে এবং গ্রেফতারকৃতরাই রাত বেশি হয়ে যাওয়ার অজুহাতে কাওসারকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নামে তাদের মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। আর এরপর থেকেই কাওসার নিখোঁজ হয়।