রাঙা প্রভাত ডেস্ক:- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’ রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছিলাম। এটা এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তব। ই-পাসপোর্ট তার প্রমাণ। বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার জন্য কম্পিউটার, ল্যাপটবসহ আধুনিক সব যন্ত্রপাতির ওপর থেকে ট্যাক্স প্রত্যাহার করার সুফল আজ আমরা পাচ্ছি।

২২ জানুয়ারি বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ই-পাসপোর্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে আমরা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম, স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করেছিলাম, দারিদ্র্যের হার কমিয়েছিলাম। কিন্তু এরপরে ৫ বছর আমরা আর ক্ষমতায় আসতে পারিনি। ২০০৮ সালে যখন দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসি, যখন দেশ সেবার সুযোগ পাই তখন আমরা পুরোদমে আবারও দেশ গড়ার কাজে মনোনিবেশ করি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে কার্যক্রম গ্রহণ করি।

তিনি আরও বলেন, প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পরপরই আমরা ঘোষণা দিযয়েছিলাম, বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ। কিন্তু সেইবার আমরা দেশকে পুরোপুরি ডিজিটাল করতে পারিনি। দ্বিতীয়বার আসার পরে আমরা বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার জন্য কম্পিউটারসহ সকল আধুনিক যন্ত্রপাতির ওপর থেকে ট্যাক্স প্রত্যাহার করে দেই। ডিজিটালাইজড (আধুনিকায়ন) করার সকল প্রকার যন্ত্রপাতি জনগণের কাছে যেন সহজলভ্য হয় সেই ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করি, যার সুফল আজকে আমরা পাচ্ছি।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে দেশের জনগণের জন্য মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) দেয়া শুরু করি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে থেকে আমরা ই-পাসপোর্ট প্রকল্প গ্রহণ করেছি। ই-পাসপোর্ট বাস্তবায়নের জন্য ইমিগ্রেশন ও অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একেকবার যে নতুন প্রযুক্তি নিযয়ে আসছি, এসব প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে আপনাদের।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান, জার্মান দূতাবাস ঢাকার রাষ্ট্রদূত পিটার। অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্টের প্রকল্প পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য শেষে ই-পাসপোর্ট ভবনের শুভ উদ্বোধন করেন। অধিদফতর ও জার্মান দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা স্বারক উপহার দেয়া হয়। এরপর পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।

Share.
Exit mobile version