
আহাদুল্লাহ সানা, সাতক্ষীরা।। সাতক্ষীরা পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের সুলতানপুরের শেষ সীমানা ও ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের শুরুতে চালতেতোলার এক ডাস্টবিনের ময়লা পচার দুর্গন্ধেএলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এব্যাপারে কয়েকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষর নিকট অভিযোগ দিলেও আজও তার প্রতিকার হয়নি।সরজমিনে পরিদর্শনে গেলে ডাস্টবিনের পচা ময়লার দুর্গন্ধের সত্যতা মেলে। ডাস্টবিনের পচা দুর্গন্ধের এলাকায় অবস্থান সত্যি দুর্বিষাও হয়ে পড়েছে। ডাস্টবিনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় জুড়ে রয়েছে সাতক্ষীরা খ্রিষ্টান মিশন, সাতক্ষীরা দুই নাম্বার মিশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাতক্ষীরা একাডেমি,সেবামূলক প্রতিষ্ঠান সিস্টার বাড়ি এবং কিছু দূরে রয়েছে চালতেতলা বাজার। যার প্রভাবে এলাকায় বিভিন্ন সময় অনেকে রোগগ্রস্ত হতে দেখা যায় । সূত্রমতে জানা যায় এ ব্যাপারে ফাদার রেফা ডমিনিক বলেন আমাদের এই মিশনে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে, সকাল ও দুপুরের খাদ্য খাইতে গেলে প্রতিনিয়ত এর দুর্গন্ধের স্বীকার হতে হয়এবং এরই সাথে যুদ্ধ করে এখানে বসবাস করতে হয়। এখানে একটা ছাত্রাবাসও রয়েছে। অতিরিক্ত দুর্গন্ধ হওয়ার কারণে অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে। একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনের নিকট পতিকার চেয়ে কোন লাভ হয়নি। সিস্টার বাড়ির বড় সিস্টার সোনালী দফাদর বলেন আমরা এখানে চারজন সিষ্টার বসবাস করি, এখান থেকে এলাকার অসহায় মানুষদের সেবা করে থাকি।কিন্তু আমরা এখন নিজেরাই রোগী হয়ে যাচ্ছি।সাতক্ষীরা খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনের নেতা হেন্ডি সরদার বলেন আমার একটি বেসরকারি একাডেমি রয়েছে, সেখানে ছাত্রছাত্রীরা অতিরিক্ত দুর্গন্ধের কারণে ক্লাস করতে পারে না। এটি সরিয়ে অন্যত্র স্থাপন করা যেত তাহলে খুব ভালো হতো। দুই নাম্বার মিশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক বলেন আমার স্কুলে প্রায় ২২০ জন ছাত্রছাত্রী অধ্যায়নরত। ডাস্টবিনের থেকে দুর্গন্ধ দুপুরের দিকে বেশি ছড়ালে দরজা বন্ধ করে ক্লাস নিতে হয়। আমি এর দ্রুত পতিকার চাই। সম্প্রতি মিশনের হল রুমে অনুষ্ঠিত একটি সংগঠনের মিটিং চললে, দুর্গন্ধে সবাই অতিষ্ট হয়ে ওঠে, পরে ওই হল রুমের দরজা জানালা বন্ধ করে অনুষ্ঠান শেষ করতে হয়। ওই সংগঠনের সভাপতি বলেন অনুষ্ঠান শুরু সময় পর পরই ছড়িয়ে আসতে থাকে দুর্গন্ধ। চালতেতলা নিবাসী ও পথচারী বারনাবাস বৈরাগী বলেন এখানে ডাস্টবিন স্থাপন করার পর থেকে প্রতিদিন দুর্গন্ধ জীবন অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এলাকায় চলাফেরা করতে গেলে আমাদেরকে নাক ধরে চলাচল করতে হয় এর একটা স্থায়ী সমাধান আমি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষর নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।

