অশোক মুখার্জি, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৭০-এর ১২ নভেম্বর প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ে প্রয়াত ব্যাক্তিদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেল পাঁচ টায় আন্ধারমানিক নদীর তীরে হেলিপোর্ট মাঠে তারুণ্যের কলাপাড়া ও যুব ফোরাম এ আয়োজনে করে।
এদিকে সন্ধ্যা সাতটায় আমরা কলাপাড়াবাসি’র আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে স্থানীয় শহীদমিনারে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
উল্লেখ্য ১৯৭০ সালের এই দিন রাতে উপকূলে আঘাত হানে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ভয়াল গোর্কি। বিভিন্ন ক্ষয়-ক্ষতির পাশাপাশি প্রান কাড়ে ১০ লাখ মানুষের। ভয়াল এই দিনের কথা স্মরন করতে গেলে আজো আৎকে ওঠে কলাপাড়ার প্রবীন মানুষেরা। সরকারী হিসেবে বৃহত্তর পটুয়াখালী জেলায় (বরগুনাসহ) সেদিন রাতে ৪৮ হাজার মানুষ প্রান হারায়। বাস্তবে এ সংখ্যা লাখেরও বেশী। বর্তমান রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ, সোনার চর, মৌডুবি, বড় বাইশদিয়াসহ দ্বীপ সমৃদ্ধজনপদ পরিনত হয় জনশুন্য বিরান ভূমিতে। মানুষ ছাড়া ঘর-বাড়ি-ফসলসহ সম্পদ হানি হয় শত সহস্রাধিক কোটি টাকার। সমস্ত খালবিল নদী নালায় ছিল লাশের মিছিল।
এতে উপস্থিত ছিলেন, কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি নেছার উদ্দিন আহমেদ টিপু, সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাবেক সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন মাননু, কলাপাড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন বিপু, অর্থ সম্পাদক সৈয়দ মোঃ রাসেল, নজরুল ইসলাম, প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু-বিপন্ন উপকূল বাসীর সুরক্ষার জন্য জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি এবং প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ের কান্না জড়িত এই দিনটি উপকূল দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য উপকূল বাসির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানান।



