বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বুধবার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বললেন, “আলু চাষিদের যে পরিমাণ ভর্তুকি প্রয়োজন, সেই অর্থ দিয়েই গণভোট আয়োজনের চিন্তা করা হচ্ছে। জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে গণভোট আয়োজনের চেয়ে পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার তৈরি করা বেশি জরুরি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এসব বাস্তব সমস্যার কথা বলার মতো দেশে কেউ নেই।”
নারী কর্মসংস্থান ইস্যুতেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারেক রহমান। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কর্মঘণ্টা কমানোর নামে নারীদের চাকরিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে না তো? পোশাক কারখানায় যদি নারীরা ৮ ঘণ্টার বদলে ৫ ঘণ্টা কাজ করেন, তাহলে বাকি সময়ের মজুরি কে দেবে? এতে কি তাদের কাজের সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে না?
তিনি বলেন, গণভোটের চেয়ে নারীদের মধ্যে চাকরি সংকুচিত হওয়ার আতঙ্ক দূর করা বেশি প্রয়োজন। একজন কর্মহীনের চাকরি সৃষ্টি করাই আজ সবচেয়ে জরুরি।
তারেক রহমানের দাবি, দেশে এখন গণভোট নয়, প্রয়োজন কৃষক, শ্রমিক ও কর্মহীন মানুষের বাস্তব সমস্যার সমাধান।
‘ভবিষ্যতে আর কেউ যেন জনগণের অধিকার হরণ করে দেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে না পারে তার জন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। বীর জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের বিদায় হয়েছে এবং কোনও একটি গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দলের সুবিধার জন্য মানুষ রাজপথে জীবন দেয়নি। তিনি সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করছে বলে সমালোচনা করেন’-উল্লেখ করেন তিনি।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে হুমকি-ধামকি না দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জনগণের মুখোমুখি হতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে একটি দলের আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করবে, না কি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে অগ্রাধিকার দিবে।
এসময় দেশের অর্থনীতি ও শিক্ষা নীতিও তার গুরুত্বাপূর্ণ বক্তব্যের অংশ ছিল, গ্লোবাল ভিলেজ যুগে তথাকথিত গণভোট নিয়ে গবেষণার বদলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও অর্থনীতিকে টেকসই করার ওপর বেশি জোর দেয়ার আহবান জানান তিনি।


