সুব্রত সরকার, মহম্মদপুর (মাগুরা)।। গত ৩ সপ্তাহে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু পদে কর্মকর্তা শুন্য হয়ে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জনসাধারণ। প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন নানা কাজে উপজেলায় আসা মানুষগুলো। এদিকে উপজেলা অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও কাজ বিহীন সময় কাটাচ্ছেন। ডিজিটাল এই যুগে বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা না থাকায়। জন্মনিবন্ধনসহ নানা কাজে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সাধারণ মানুষগুলো প্রতিনিয়তই হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষ সরকারি অফিসগুলোতে যায়, তার কাজের সমাধান করতে। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় এক মাস হলো মহম্মদপুরে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ অফিসে অফিস প্রধানের পদ শূন্য রয়েছে। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, (ইউএনও), সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদ সমূহ।

মহম্মদপুরের সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহীনুর আক্তার সম্প্রতি যশোরের চৌগাছা উপজেলাতে বদলি হয়েছেন।সেখানে তিনি তার নিজ কর্মস্থলে যথাসময়ে যোগদান করেছেন। ওই সময় কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রদীপ্ত রায় দীপন-কে মহম্মদপুর উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও হিসেবে বদলি করা হয়। কিন্তু তিনি আসেন নি,পরে তার বদলী আদেশ বাতিল করেন বিভাগীয় কমিশনার খুলনার অফিস থেকে। ইউএনও হিসেবে অদ্যবদি কাউকে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলাতে পোষ্টিং দেওয়া হয়নি।অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে মাগুরার অন্য একটি উপজেলা শালিখার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: বনী আমিন-কে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকায় সবসময় আসতে পারেন না। সপ্তাহে ১দিন অথবা কোন সপ্তাহে একদিনও আসেন না, শুধুমাত্র প্রশাসনের অতি প্রয়োজনীয় কাজ থাকলে তিনি আসেন।
”এভাবেই অফিসার বিহীন চলছে মহম্মদপুর উপজেলা”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হচ্ছেন ওই উপজেলার সর্বোচ্চ অভিভাবক। অথচ সেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদ কারণে শূন্য পড়ে আছে। এতে নানা কাজে আসা জন সাধারণ কে ব্যাপক অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। সেবা নিতে আসা মানুষগুলো চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

এদিকে উপজেলার অতি গুরুত্বপূর্ণ আরেক টি পদ সহকারী কমিশনার (ভূমি)। দীর্ঘদিন ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার পদটিও খালি রয়েছে।
এখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় বাসুদেব কুমার মালো ৫ মাসের প্রশিক্ষণে চলে যান।দীর্ঘ প্রশিক্ষণ শেষে তিনি মহম্মদপুরে আসলে প্রমোশন জনিত বদলির কারণে তাকে চলে যেতে হয়। তার স্থলে আসেন নবাগত সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: সাদমান আকিফ। তিনি মহম্মদপুর উপজেলা ভূমি অফিসে যোগদান করেন। যোগদানের কয়েক দিনের মধ্যে তিনিও পাঁচ মাসের প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে ঢাকায় অবস্থান করছেন। ফলে ভূমি অফিসের ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় কাজে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে জনসাধারণ।

এছাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পদটিও খালি রয়েছে। যা সেবা গ্রহীতা জনগণের কাজের ক্ষেত্র ভীষণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একজন সেবা গ্রহীতা মিজানুর রহমান অভিযোগের সুরে বলেন, “মহম্মদপুর উপজেলা ইউএনও এবং ভূমি অফিসের কর্মকর্তা এসিল্যান্ড না থাকায় আমাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এই ভোগান্তির শেষ কোথায়”? তিনি বলেন- অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে মহম্মদপুরে অফিসার পোষ্টিং দিতে;

এ বিষয়ে মাগুরা জেলা প্রশাসক মো: অহিদুল ইসলাম বলেন-বিভাগীয় কমিশনার খুলনা মহোদয়ের অফিস বিষয়’টির প্রতি অবগত আছেন। আমরা একাধিকবার অবহিত করেছি।
হইতো অতিদ্রুত মহম্মদপুর উপজেলায় নতুন নির্বাহী অফিসার ইউএনও যোগদান করবেন বলে আশা করছি।

Share.

উপদেষ্টাঃ আলহাজ সিরাজ আহমেদ
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রফিকুল ইসলাম রনি
প্রধান সম্পাদকঃ ইব্রাহিম রুবেল
বার্তা সম্পাদকঃ আব্দুল বারী
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
যোগাযোগঃ
৬/সি, আনেমা ভিস্তা (৭ম ফ্লোর), ৩০ তোপখানা রোড, ঢাকা ১০০০।
মোবাইলঃ ০১৮২৪২৪১০২৩, ০১৭১৯২৬৪০৪৫

Exit mobile version