আহাদুল্লাহ সানা, সাতক্ষীরা।। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আউট সোর্সিং ও সরকারি কয়েকটি পদে নিয়োগে কোটি টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী। আউট সোর্সিং ও সরকারি নিয়োগে মোটা অংকের টাকার চুক্তিতে চাকুরি প্রত্যাশীদের নিকট থেকে নেওয়া হচ্ছে এসব টাকা এমনই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটসোসিংয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও সরকারী ভাবে কয়েকটি পদে কর্মচারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের মিশনে নেমেছে এই চক্রটি। এই চক্রের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মেডিকেলের হিসাব রক্ষক মুত্তাজুল ও সহকারী হিসাবরক্ষক শেখ খায়রুল ইসলাম এবং প্রধান সহকারী আক্তার হোসেন। ইতোমধ্যে আউট সোর্সিংয়ে নিয়োগ পাইয়ে দিতে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন খায়রুল ইসলাম গংরা এমনটিই অভিযোগ করেছেন হাসপাতালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারীরা। এছাড়া হাসপাতালে বিভিন্ন পদের একাধিক ব্যক্তি এই নিয়োগ বানিজ্যে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, মেডিকেলের ভূয়া বিল ভাউচার করেও লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে দুদকে অভিযুক্ত হিসাব রক্ষক মুত্তাজুল ও সহকারি হিসাব রক্ষক খায়রুলের বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, আউট সোর্সিং ছাড়াও কয়েকটি পদে সরকারিভাবে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আউট সোর্সিংয়ে জন প্রতি ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা এবং সরকারি পদগুলোতে ১০ থেকে ১৮ লক্ষ টাকার চুক্তি করা হচ্ছে।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক এমপি রবির এপিএস মাফুজের সাথে সক্ষ্যতা গড়ে তুলে মুত্তাজুল ও খায়রুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঔষধ কেনাকাটা, বিভিন্ন মালামাল ক্রয়সহ নিয়োগ বানিজ্য করে হাতিয়েছেন কোটি টাকা। বিতর্কিত হিসাব রক্ষক মুত্তাজুলের বিরুদ্ধে জাল কাগজ তৈরি করে বিল উত্তলন, পরিচালক ডা. কুদরত ই খোদাকে জিম্মি করে সরকারি অর্থ আত্বসাত, ডাক্তার নার্স থেকে শুরু করে কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন ভাতা প্রদানে কমিশন বানিজ্যের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত শেখ খায়রুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামীকাল গায়ে সাবান মেখে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে আসেন সরাসরি বক্তব্য দিব, এসব বিষয়ে মোবাইলে কথা বলব না। এ ঘটনায় হিসাব রক্ষক মুত্তাজুল ইসলামের নিকট জানতে একাধিক বার তার মোবাইলে রিং দিলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোঃ কুদরত-ই খোদার নিকট নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে তার অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি এবং তার ব্যবহারিত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ না করাই বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।



