ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দু’মাস বেতন না পাওয়ায় পরিবারসহ ৯ জন একইসাথে আত্মহত্যা করেন। মৃতদের মধ্যে ৬ জন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ও একই পরিবারের সদস্য। আর বাকি দু’জন বিহারের ও এক জন ত্রিপুরার বাসিন্দা। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের গোরেকুন্টা গ্রামে এক কুয়া থেকে চার জনের দেহ উদ্ধার হয়। শুক্রবার একইস্থান থেকে আরও পাঁচ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, এটা গণ-আত্মহত্যা। উদ্ধার হওয়া দেহগুলোর কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। দু’মাস ধরে বেতন পাননি এই শ্রমিকেরা ফলে তারা ঘরেও ফিরতে পারছিলেন না। কারও শরীরে আঘাতের চিহ্নও নেই।
আনন্দবাজার জানায়, পশ্চিমবঙ্গের মাকসুদ আলম ২০ বছর আগে গোরেকন্টার এক জুট মিলে কাজ পান। কারখানার সাথেই দু’টি ঘরে সপরিবার থাকতেন তিনি। লকডাউনে বেতন বন্ধ হলে বাড়ি থেকেও বের করে দেয়া হয় তাদের। এরপর স্থানীয় এক দোকানদার নিজের গুদামে আশ্রয় দিয়েছিলেন তাঁদের। তারই কাছে এই কুয়াটি।
বৃহস্পতিবার এই কুয়া থেকেই উদ্ধার করা হয় মাকসুদ, তাঁর স্ত্রী নিশা, দুই ছেলে সোহেল ও শাবাদ, মেয়ে বুশরা খাতুন এবং তিন বছরের নাতি শাকিলের দেহ। ত্রিপুরার বাসিন্দা শাকিল আহমেদ জুট মিলের গাড়ি চালাতেন। এ ছাড়া বিহারের শ্রীরাম ও শ্যাম অন্য একটি কারখানায় কাজ করতেন।