করোনাদুর্যোগের মাঝেই দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতের উপকূলে আছড়ে পড়েছে দুটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। গত ২০ মে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে দ্রুতগতিতে আঘাত হানে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পশ্চিমবঙ্গ। সেখানে অন্তত ৮৫ জন মানুষ মারা গেছেন এর প্রভাবে। এছাড়া গৃহহীন হয়েছেন অগণিত মানুষ। পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে মানুষের বিভিন্ন সেবার খাত, উপড়ে গেছে অনেক অনেক গাছ।
এর ১৫ দিন যেতে না যেতেই আরব সাগরে ফুঁসে ওঠে ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ। বুধবার এটি মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইতে আছড়ে পড়ে। তবে এখন থেকেই তাই প্রহর গোনা শুরু হয়ে গেছে পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের। ‘গতি’ নামে আরও এক মহাপ্রলয় কবে ধেয়ে আসবে, কোথায় হবে তার অভিমুখ, তার আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
নিসর্গের পর ভারত মহাসাগরের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ে হিসেবে ধেয়ে আসবে ‘গতি’। এই ঝড়ের নামকরণ করেছে ভারত। নিসর্গ ছিল বাংলাদেশের দেয়া নাম। বাংলাদেশের পরই ভারতের পালা।
নতুন তালিকায় ভারতের দেয়া প্রথম নামাঙ্কিত ‘গতি’ ধেয়ে আসবে এবার। নতুন তালিকার ১৩টি দেশ এবার ১৩টি করে ঝড়ের নাম দিয়েছে। তার মধ্যে প্রত্যেকে প্রথম যে একটি করে ঝড়ের নামকরণ করেছে তা হলো পর্যায়ক্রমে- নিসর্গ, গতি, নিভার, বুরেভি, তকলি, যাস, গুলাব, শাহীন, জওয়াদ, অশনি, সিতরং, ম্যানডৌস এবং মোচা।
ভারত মহাসাগরের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ে সেইমতো উত্তর ভারত মহাসাগরের মধ্যে ৪৫ ডিগ্রি পূর্ব থেকে ১০০ ডিগ্রি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করে ভারত আবহাওয়া অধিদফতর বা আইএমডি। যে সমস্ত ঘূর্ণিঝড় কমপক্ষে তিন মিনিট বাতাসে স্থায়ী হয় এবং গতিবেগ সর্বনিম্ন ঘণ্টাপ্রতি ৬৩ কিলোমিটার হয় সেই ঝড়েরই নামকরণ করা হয়।
১৩টি দেশ ১৩টি করে নাম দিয়ে ১৬৯টি ঝড়ের তালিকা প্রস্তুত করেছে। নতুন পাঁচ দেশের অন্তর্ভুক্তি নতুন তালিকায় আগে আটটি দেশ নামকরণ করল ভারত মহাসাগরীয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের। এবার তালিকায় পাঁচটি নতুন দেশের নাম সংযুক্ত হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে ১৩টি দেশকে সাজালে হয়- বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, আরব আমিরাত ও ইয়েমেন। এই তালিকায় যে পাঁচটি নতুন দেশ এসেছে সেগুলো হলো- ইরান, কাতার, সৌদি আরব, আরব আমিরাত এবং ইয়েমেন।