রফিকুল ইসলাম রনি।। ‘প্রতিভা কোনো সীমাবদ্ধ সিদ্ধিতে সন্তুষ্ট থাকে না, অসন্তোষই তার জয়যাত্রা পথের সারথি’ বলেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সরকারি অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রতি জনসাধারণের ছিলো অনেক অভিযোগ। তবে বরিশালের বাবুগঞ্জ বাসীর কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন ব্যতিক্রম জনবান্ধব, পরিশ্রমী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ফারুক আহমেদ ।
উপজেলায় যোগদানের পর থেকে তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে আসতেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান।
বাবুগঞ্জ উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে নিরালসভাবে কাজ করছেন তিনি। জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার সৎ জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
উপজেলার যেকোনো অবৈধ ও অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে তিনি সার্বক্ষনিক সোচ্চার। পরিবেশ ছাড়পত্র বিহিন ইটভাটায় অভিযান , নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় জরিমানা, বাজার মনিটরিং, ঈদ যাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ সহ উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার জন্য প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আসছেন তিনি।
তিনি অভিযোগ পেলে তার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেচ্ছেন । তা ছাড়া গণমাধ্যম, ফেসবুক, মুঠোফোনের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত সমাধান ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
যোগদানের এ-কয়মাসে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবা, সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বা সরকারি দান-অনুদান সরেজমিন পরিদর্শন করে তা শতভাগ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নাগরিকদের নানাবিধ সমস্যা এবং চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি এবং চলমান অবস্থা নিয়মিত পরিদর্শন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ফারুক আহমেদ।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন জাহাপুর ভূমি অফিস সংলগ্ন গভীর নলকূপ স্থাপন উদ্বোধন করেন তিনি। তখন তার সাথে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুন্নাহার তামান্না, উপজেলা প্রকৌশলী মো: কাজী ইমামুল, জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল আহসান খান হিমু, সচিব আমিনুল ইসলাম, ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্মকর্তা পাপরি খাতুন সহ ইউপি সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
উন্নয়ন প্রকল্প দেখতে যাওয়ায় স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সরেজমিনে পেয়ে অত্যন্ত আন্দন্দ প্রকাশ করেন।
স্থানীয়রা বলেন, এরকম সচ্ছতা এর আগে থেকেই নিশ্চিত করা গেলে উপজেলার অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যেতো।
জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল আহসান খান হিমু বলেন, পূর্বে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অনেকেই সরকারি দ্বায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের থেকে তিনি ব্যতিক্রম। তাই স্যারের জন্য রইলো দোয়া ও ভালোবাসা।
বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ফারুক আহমেদ বলেন, জাহাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নতুন ভবন নির্মাণ করা হলেও সেখানে ঠিকাদার পানি সরবরাহের কাজ করেনি। ফলে অফিসের সেবা গ্রহীতা এবং সেবাদাতা উভয়কেই চরম ভোগান্তিতে থাকতে হতো। এমতাবস্থায় এই গভীর নলকূপ স্থাপন অফিসের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাবুগঞ্জে সেবা প্রদান কার্যক্রম আরও উন্নত হবে এই প্রত্যাশা করি।