বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি : বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব’র সহ-সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আক্তার হোসেন খোকার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও মামলায় জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার ( ৪ জুন) সকালে বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব’র আয়োজনে ঘন্টাব্যাপি অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা নিয়ে গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব’র সভাপতি সহকারী অধ্যাপক সাইফুল রহিম এর সভাপতিত্বে ও সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আরিফ আহাম্মেদ মুন্না, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন, সিনিয়র সহ সভাপতি হাফেজ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, সহ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টুলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন, শফিকুল ইসলাম, আহত আক্তার হোসেন খোকার বোন লাভলী আক্তার প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আল আমিন, সহ সাংগঠনিক রফিকুল ইসলামসহ সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য যে, সমন্বয়ক ও সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে শুক্রবার (৩০ মে) রাতে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাসস্টান্ডের খালপাড় লাগোয়া সেন্টার পয়েন্ট মার্কেটে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় সেখান থেকে নগদ টাকাসহ আনুমানিক ৭/৮ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে তারা। সংঘবদ্ধ চক্রের হামলায় ৪ জন গুরুতর জখম হয়েছে। আহতরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রাতেই খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আহতরা হলেন- পূর্ব পাংশা গ্রামের মো. শাহজান হাওলাদারের পুত্র বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আক্তার হোসেন খোকা (৪৮), নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ড দরগাবাড়ি এলাকার মো. অলিউল ইসলামের পুত্র ব্যবসায়ী মাসুদ (৫৪), নথুল্লাবাদ শের-ই বাংলা সড়ক এলাকার বাসিন্দা মৃত.আ. সত্তার খানের পুত্র প্রবাসী জিন্না খান (৫২) ও এম. এ কামাল হাওলাদারের পুত্র ব্যবসায়ী জুয়েল হাওলাদার (৪৮)।
হামলায় আহত আক্তার হোসেন খোকা বলেন, আমরা মার্কেটের দোতালায় অফিস রুমে বসে নাস্তা খাচ্ছিলাম। এসময় গেট দিয়ে দোতালায় উঠে সমন্বয়ক ও সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ৩০/৪০ জনের একটি দল ধাড়ালো অস্ত্র ও লাটিসোটা নিয়ে এলোপাথারীভাবে আমাদের উপর আঘাত করে। এরপর তারা অফিস রুম থেকে নগদ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ মালামাল, কাগজপত্র, মানিব্যাগ লুটে নেয়। এছাড়া মার্কেট থেকে একটি মোটরসাইকেল ও মালামাল লুট করে। তিনি আরো বলেন, সমন্বয়ক পরিচয়দাকারী শাওন ও তার ভাই সজীব, ফোরকান, নগরীতে নানা অপকর্মে বিতর্কিত ছাত্রদল নেতা রাসেল ও সেনাবাহিনীর ভুয়া পরিচয় প্রদানকারী দুই সদস্যসহ প্রায় ৩০/৪০ জনের একটি দল ডাকাতি ও লুটপাটে অংশ নেয়।