ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মামুন মিয়া (৩০) র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২০ জুলাই) ভোররাতে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে। সে চান্দপুর গ্রামের মুছার মিয়ার ছেলে। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ছুড়ি ও ম্যাগজিন উদ্ধার করেছে র্যাব।
র্যাব ১৪ সিপিসি ৩ ভৈরব ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক চন্দন দেবনাথ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর বাজারে ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত গোপন মিটিং করছেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মামুন ও তার সহযোগীরা র্যাবের ওপর গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় মামুন আহত হলেও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে মামুনকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিন ও একটি ছুরি উদ্ধার করেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। নিহত মামুন পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলে সাদা পোশাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চান্দপুর ব্রিজের কাছে আসামি ধরতে গিয়ে সদর থানার পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির নিহত হন। এতে আহত হয় এ এস আই মনি শংকর চাকমা। এ ঘটনায় এএসআই মনি শংকর চাকমা বাদী হয়ে সদর থানায় পাঁজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় দুইজনকে শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার হয়।