পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেয়ায় আড়াইশ পরিবারের বাড়ি থেকে বের হওয়া বন্ধ হয়ে পড়েছে
নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁ’র মান্দায় প্রভাবশালী কর্ত্তৃক জোরপূর্বক পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেয়া জনসাধারনের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত শত বছরের একটি সড়কে চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘিœত হয়েছে। এতে প্রায় আড়াইশ পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে বাইরে বের হতে পারছেন না। জনসাধারন প্রশাসনের কাছে এর প্রতিকার চেয়েও কোন ফল পাচ্ছেন না। বিষয়টি মিডিয়ায় জানাজানি হলে অবশেষে উপজেলা প্রশাসন একটি যৌক্তি সমাধানের উদ্যোগে নিয়েছে।
জানা গেছে জেলার মান্দা উপজেলার দক্ষিন মৈনম মোল্লাপাড়া গ্রামের প্রায় আড়াইশ পরিবারের লোকজন এই সড়ক দিয়ে একশ বছরেরও বেশী সময় ধরে উপজেলা সদর ও জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু অতি সম্প্রতি ঐ গ্রামের আব্দুস সাত্তার নামের এক ব্যক্তি সড়কের জমি নিজের দাবী করে তা উঁচু করে মাটি কেটে গাছ লাগিয়ে দেন। এতে গ্রামের সকল মানুষের নিত্য ব্যবহৃত এবং বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে পড়ে। পানি নিষ্কাশিত হতে না পেরে সমুদয পানি চলাচলের রাস্তায় জমা হয়ে পুরো রাস্তাটি স্থায়ীভাবে জলমগ্ন এবং কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। এর ফলে ঐ গ্রমের ভুক্তভোগী আড়াইশ পরিবারের লোকজন কোন যানবাহনতো দুরের কথা হেঁটে পর্যন্ত যেতে পারছেন না। একদিকে তাদের কৃষি পণ্য, গবাদি পশু ইত্যাদি যেমন বাজারজাত করতে পারছেন না অন্যদিকে বাজর থেকেও তারা কোন পন্য নিয়ে বাড়িতে যেতে পারছেন না। এতে তাদের জীবন যাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। অনেক কষ্ট করে কেউ কেউ কাদা পানি মাড়িয়ে ঐ পথ দিয়ে চলাচল করতে চাইলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা কবলিত হচ্ছেন। পথচারী বা বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে রাস্তার পাশ দিয়ে অন্যের বাড়ির খলিয়ান দিয়ে চলাচল যাতে না করতে পারেন সে জন্য সে বাড়ির মালিক খলিযানে বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। যার ফলে যত কষ্টই হোক কাদা পানি মাড়িয়েই চলাচল করতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগির গ্রামবাসীরা তাঁদের নিজেদের অর্থে জলমগ্ন ও কর্দমাকক্ত সড়ক ইট বিছিয়ে চলাচলের উদ্যোগ নিলে পুলিশকে প্রভাবিত করে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সালাম জানিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে এই সমস্য সমাধানে আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পদক্ষেপ নিলে তাও বন্ধ করে দেয় ঐ প্রভাবশালী ব্যক্তি। ইউনিয়ন পরিষদ এক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়।
দুর্ভোগের স্বীকার গ্রামবাসী এই অবস্থার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম গ্রামবাসীর অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে তার একটি যৌক্তির সমাধানের দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
অতি দ্রæত মারাত্মক এই সমস্য থেকে নিষ্কৃতি প্রদানের দাবীতে ভুক্তভোগি গ্রামের নারী পুরুষ সমন্বয়ে সেখানে একটি মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন। গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক নারী পুরুষ এই মানববন্ধন কজর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করেন।