রবিবার ৯ আগস্ট সকাল ১১টায় জুম পদ্ধতিতে পাবনা জেলার আইন শৃংখলা কমিটির সভায় বক্তারা এ সব অভিয়োগ তুলে ধরেন।
সভায় পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ যাত্রী পরিবহনে স্বাস্থ্য বিধি মানা না হলে সকল বাস ও কোচে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার জন্য সকল ইউএনওকে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া জেলার করোনা পরিস্থিতি ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
কবীর মাহমুদের সঞ্চলনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামিমা আখতার মিলি, সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, পাবনা চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি মো. সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী, পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি বাবু চন্দন কুমার চক্রবর্তি, স্কয়ারের আবাসিক পরিচালক দবির উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন উপজেলার ইউএনও প্রমুখ
করোনা ভাইরাস (কেভিড-১৯) পরিস্থিতিতে গণপরিবহন বন্ধের পর যখন খুলে দেয়া হয়, তখনে থেকেই পাবনার প্রায় সকল গণপরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠে। আর স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া স্বাস্থ্যবিধিও মানছে না বলে অভিযোগ উঠে আসছে। যদিও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এবং নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে বাসের রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। তবে পাবনায় এর কোনও প্রভাব পড়েনি, ফলে পাবনাতে অতিরিক্ত ভাড়া ও স্বাস্থ্য বিধির কোনও তোয়াক্কাও করেনি।
দেশের অন্যান্য স্থানের মতো পাবনাতেও গত ১ জুন থেকে চালু হয় গণপরিবহন। সাধারণ ছুটি শেষে নানা বিষয় বিবেচনা করে অস্থায়ীভাবে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয় গণপরিবহনে। কিন্তু বিভিন্ন রুটে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার কোনো ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ এসেছে।