কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা :- কুড়িগ্রাম পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণপুর দক্ষিণ ডাকুয়া পাড়া এলাকায় মৃত বছিয়ত উল্লাহর পুত্র পত্রিকা হকার মহব্বত আলী তারই প্রতিবেশী দ্বারা হামলা ও ভাংচুরের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় মহব্বত আলী নিজে বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় ৫ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণপুর দক্ষিণ ডাকুয়া পাড়া এলাকায় মৃত বছিয়ত উল্লাহর পুত্র পত্রিকা হকার মহব্বত আলী ২০০১ ইং সালে বিনিময় দলিল মূলে একটি জমি নিয়ে স্থানীয় আমিন দ্বারা পরিমাপ পরিচিতি ক্রমে সরেজমিনে দখল নিয়ে নিজ নামে নাম খারিজ করতঃ খাজনা প্রদানের দাখিলা ও ডিসিআর প্রাপ্তে উক্ত জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ করেন। তিনি বাড়ি নির্মাণে বাড়ির চারিপাশে মূল্যবান ফলজ ও বনজ গাছ লাগাইয়া দীর্ঘদিন হইতে সপরিবারে বসবাস করছেন। উক্ত জমির সীমানা লইয়া বিবাদী জামাল উদ্দিন, বাবু মিয়া, মোছাম্মদ দিলারা আক্তার জেমি, মোছাম্মদ দিলরুবা আক্তার জ্যোতি ও মোছাম্মদ মোসলেমা বেগম প্রতিবেশীগণের সহিত কিছুদিন হইতে জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলিয়া আসছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ৮ আগস্ট দুপুরে বিবাদীগন সকলে একদলভুক্ত হয়ে হাতে লাঠি ফলা দা-কুড়াল ধারালো ছোরা ইত্যাদি মারাত্মক প্রাণনাশক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহব্বত আলীর বসতবাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে। এ সময় বিবাদীরা মহব্বত আলীর বসতবাড়ির টিনের চেকার ভাঙচুর এবং ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের গাছপালা কাঠিয়া প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। বিবাদীরা অকথ্য ভাষায় মহব্বত আলীর পরিবারের লোকজনকে গালিগালাজ করে। এ ঘটনায় মহব্বত আলী নিজে বাদী হয়ে গত ৯ আগস্ট কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ অভিযোগ পেয়ে চৌকস পুলিশ অফিসার এসআই নূর মোহাম্মদ এর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম সংবাদপত্র হকার সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জরুরী ভিত্তিতে আইনি প্রক্রিয়ায় ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।