শাহজাহান সরকার, বিশেষ প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘিতে একজন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যের উপস্থিতিতে বাল্যবিয়ের সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করার সময় আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা অভিযান চালিয়ে বর অন্তর চৌধুরী (১৯) কে এক মাসের জেল ও কনের বাবা ছহির উদ্দীনের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন। গত বুধবার দিবাগত রাত ১২ টায় উপজেলার উথরাইল চকসাবাজ গ্রামে কনের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
জানাযায়, আদমদীঘির ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম সিংড়া গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে আউটসোসিং কাজ করা কিশোর অন্তর (১৯) ও চকসাবাজ গ্রামের ছহির উদ্দীনের মেয়ে উথরাইল উচ্চবিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনির ছাত্রী সেবা আক্তার (১৬)-এর গোপনে বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করতে দিনক্ষন ঠিক হয়। সেই মোতাবেক গত বুধবার রাত ১২টায় আলি মূর্তুজা কিনা নামের একজন ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে বরসহ লোকজন কনের বাড়ি চকসাবাজ গ্রামে আসেন। তারা বর পক্ষের লোকজনকে মেহমানদারী করার সময় গোপন সংবাদের ভিক্তিতে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদের নেতৃত্বে আইনশৃংখলা বাহিনী কনের বাড়িতে অভিযান চালান।
এসময় অনেকেই পালিয়ে গেলেও বর অন্তর ও কনে সেবা আক্তারকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বর অন্তরের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও কনের বাবা ছহির উদ্দীনের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ইউপি সদস্য আলি মর্তুজা কিনা জানান, বাল্য বিয়ে জানা ছিলনা, দাওয়াত করায় সেখানে উপস্থিত ছিলাম।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বিসয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর ও কনে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিয়ে সম্পন্ন করবে না বলে অভিভাবকরা অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করেন।